বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত (১৬ জুলাই) দেশের আট বিভাগে দুই হাজার ৪৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৯৭১ জন (৭৮.৯৭ শতাংশ) এবং নারী ৫২৫ জন (২১.০৩ শতাংশ)।
Advertisement
এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের ১৭ জন (.৬৮ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছরের ২৯ জন (১.১৬ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭৬ জন (৩.০৪ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭৬ জন (৭.০৫ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৫৯ জন (১৪.৩৮ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭৪২ জন (২৯.৭৩ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক হাজার ৯৭ জন (৪৩.৯৫ শতাংশ) রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের ৩১ জন পুরুষ, আটজন নারী। এদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন।
এদের মধ্যে ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ছয়জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, তিনজন রংপুর বিভাগের, দুজন বরিশাল বিভাগের এবং একজন রাজশাহী বিভাগের।
Advertisement
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৪৯৬ জনে।
একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৭৩৩ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৯৬ হাজার ৩২৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বৈশ্বিক পরিস্থিতিকরোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৩৭ লাখ প্রায়। মৃতের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার প্রায়। তবে প্রায় ৮১ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
Advertisement
এমইউ/বিএ/এমকেএইচ