পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৫০ পয়সা করে পাবেন।
Advertisement
লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফায় রীতিমতো ধস নেমেছে। আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি মুনাফা কমে ৫ ভাগের এক ভাগে দাঁড়িয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ আগস্ট।
Advertisement
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৬৮ পয়সা।
ডিএসই জানিয়েছে, লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ার দাম যতখুশি বাড়তে পারবে।
তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সীমার নিচে শেয়ার দাম নামতে পারবে না।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি- মার্চ প্রান্তিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে মাত্র ৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ২৬ পয়সা কমেছে।
Advertisement
মুনাফায় ধস নামলেও কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৭৫ পয়সা, যা ২০১৯ সাল মার্চ শেষে ছিল ১৫ টাকা ৬৮ পয়সা।
এদিকে অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি অপারিটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩০ পয়সা।
এমএএস/জেডএ/পিআর