আন্তর্জাতিক

ব্লাকার থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন

রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজি। মুম্বাইয়ের চেম্বুরের এক সাধারণ পরিবারের এই ছেলেকেই এখন গোটা পৃথিবী চেনে ছোটা রাজন নামে। ১৯৮০ সালে সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করে অপরাধে হাতে খড়ি তার। তারপর সময়ের সঙ্গে নামেন আরো গভীরে।একসময় চেম্বুরের রাজেন্দ্রর সঙ্গে পরিচয় হয় হায়দারাবাদের বড় রাজনের। তার কাছ থেকেই মাফিয়া জগতের মার-প্যাঁচ শেখে রাজেন্দ্র। বড় রাজন খুন হওয়ার পর অন্ধকার জগতের কারবারের দায়িত্ব এসে পড়ে রাজেন্দ্রর হাতে।তখন থেকেই চেম্বুরের রাজেন্দ্র হয়ে যায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের ছোটা রাজন। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয় দাউদ-রাজন যুগলবন্দী। মুম্বাই-এর অপরাধ জগতে বাড়ে দাউদের নিয়ন্ত্রণ। আর দাউদের বিশ্বস্তদের মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে আসে ছোটা রাজনের নাম। বাড়তে থাকে পুলিশের খাতায় অভিযোগের সংখ্যাও।১৯৮৯ সালে দাউদের ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সপরিবারের দুবাই যায় রাজন। সেই শেষ। তারপর আর দেশে ফেরেনি তারা। কথিত আছে, ১৯৯৩ এর মুম্বাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর ডি কোম্পানি ছেড়ে বেরিয়ে যায় ছোটা রাজন। তারপর থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে মুখোমুখি দু’টি গ্যাং। একে অপরের শত্রু। কখনো দাউদের বিশ্বস্তকে খুন করেছে রাজন। কখনো খোদ রাজনের উপরই হামলা চালিয়েছে দাউদ।ঠিক যেমনটি হয়েছিল ২০০০ সালে, ব্যাংককে। ফিল্মি কায়দায়, প্রথমে হোটেল থেকে এবং পরে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিল ছোটা রাজন। সময় যত গড়িয়েছে, ততই গাঢ় হয়েছে শত্রুতার রং। মাঝেমধ্যে যা উঠে এসেছে সেলুলয়েডের পর্দাতেও। ১৯৮৯ সালের পর সশরীরে দেশে না ফিরলেও, বারবার একাধিক অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যা মামলার চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে তার নাম রয়েছে। অবশেষে ডন ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।এসআইএস/পিআর

Advertisement