রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের গ্রেফতারের খবর পেয়ে তার উত্তরা কার্যালয়ে ছুটছেন পাওনাদাররা। যদিও এর আগে সাহেদের কাছে পাওনা টাকা চাইলে হত্যার হুমকি দিত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন পাওনাদাররা।
Advertisement
বুধবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় সোনিয়া নামের এক নারী বলেন, ‘স্বামী হাবিবুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় থাকার সুবাদে ২০০৮ সালে সাহেদকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়। অফিস স্টাফদের বেতন দিতে তিনি এ টাকা ঋণ নেন। সেই টাকার পরিবর্তে সাহেদ একটি গাড়ি দিয়েছিল, তবে সেটি ছিল চোরাই গাড়ি। পরে ২০০৯ সালে গাড়িটি জব্দ করে শাহবাগ থানা পুলিশ। সাহেদ এ গাড়ি চুরির মামলায় গ্রেফতারও হয়। পরে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘদিন পর ২০১৮ সালে তার সঙ্গে রিজেন্ট গ্রুপের অফিসে দেখা করি। তখন টাকা চাইলে হত্যার হুমকি দেয় সাহেদ।’
সিলেটের জৈন্তাপুরের পাথর ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা জানান, তার কাছ থেকে সাহেদ প্রায় ৩০ লাখ টাকার পাথর কেনেন রিজেন্ট গ্রুপের নামে। বছর পার হলেও এক টাকাও পরিশোধ করেনি সাহেদ। একপর্যায়ে তার অফিসে এসে টাকা চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘সাহেদের কাছে টাকা পাবেন এমন অনেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তদন্তের পর এ বিষয়ে জানানো হবে।’
Advertisement
করোনা টেস্টের নামে প্রতারণার অভিযোগে ৬ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। এরপর সাহেদ আত্মগোপনে যান। বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়।
এফএইচ/এএইচ/পিআর