আন্তর্জাতিক

মডার্নার ভ্যাকসিনে শতভাগ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে

মার্কিন কোম্পানি মডার্নার তৈরি করোনার সম্ভাব্য ভ্যকসিনটি মানবদেহে পুশ করার পর প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, যারা এই ভ্যাকসিনটি নিয়েছেন, তাদের সবার দেহে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এমনকি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়াদের তুলনায় ওই অ্যান্টিবডি শক্তিশালী।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে দেশটির বায়োটেক কোম্পানি মডার্নার তৈরি ওই ভ্যাকসিন প্রথম ধাপে ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে পুশ করা হয়। তারই প্রকাশিত ফলাফলে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনটি আশাব্যঞ্জক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

গবেষণার ফল নিয়ে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, যেসব স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাকসিনটি নিয়েছিলেন তাদের দেহে ভাইরাসটি মেরে ফেলার মতো যে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থদের দেহে তৈরি অ্যান্টিবডির চেয়েও শক্তিশালী।

এছাড়া যে ৪৫ জন ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করেছেন তাদের দেহে কোনো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে অর্ধেকের দেহে অবসাদ, মাথা ব্যথা, শরীর ঠান্ডা হওয়া এবং শরীরে যে অংশে ভ্যাকসিনটি পুশ করা হয়েছে সেখানে মাংসপেশীতে ব্যথার মতো হালকা বা মাঝারি প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে তা গুরতর নয়।

Advertisement

অবশ্য এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তাদের মধ্যে, যারা দ্বিতীয়বার কিংবা ভ্যাকসিনটির উচ্চ পর্যায়ের ডোজ গ্রহণ করেছিলেন। প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স জানার ৬৬ দিন পর প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গত ১৬ মার্চ ভাইরাসটির একটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করেছিল মডার্না।

এরপর মঙ্গলবার ফেস-১ এর আশাব্যঞ্জক এই ফল আসার পর বায়োটেক কোম্পানি মডার্না জানিয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই থেকে ৩০ হাজার মানুষের দেহে পুশ করার মাধ্যমে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় অর্থাৎ চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে। অক্টোবরের মধ্যেই ওই পরীক্ষার ফল জানা যাবে আশাবাদী তারা।

সূত্র: সিএনএন, আল-জাজিরা

এসএ/এমকেএইচ

Advertisement