গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে আবারও কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে নেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে তাকে সেখানে নেয়া হয়। সেখানে তাকে গোয়েন্দা ইউনিটে রাখা হয়েছে।
Advertisement
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং জানায়, সাহেদকে নিয়ে দুপুর ৩টায় র্যাব সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। সেখানে গ্রেফতার, অভিযান ও সাহেদের প্রতারণা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করবেন র্যাবের মহাপরিচালক।
এর আগে সাহেদকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে অভিযান চালানো হয়। র্যাব সাহেদকে নিয়ে দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে ওই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তিনি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরা ছিলেন। এর আগে ১২টা ১৫ মিনিটে ওই ভবনে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম প্রবেশ করেন। এরপর দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে তাকে নিয়ে ওই ভবন থেকে বের হয় র্যাব।
র্যাবের অভিযান শেষ করার পর উত্তরার সেক্টর-১১ এর ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর ‘সিএইচএল বাইতুল ইহসান’ ভবনটির কেয়ারটেকার মো. তারা মিয়া সাংবাদিকদের জানান, এ ফ্ল্যাটের মালিক ইয়াহিয়া খান নামের এক ব্যক্তি। দুই মাস আগে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন সাহেদ। শুনেছি এখানে একটি ল’ ফার্ম করার কথা ছিল। ভাড়া ছিল ৩০ হাজার টাকা। অফিসও সাজানো হয়েছে। তবে ফার্মটি চালু হয়নি। এ ছাড়া সাহেদের নামে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়া হলেও তিনি কখনও এখানে আসেননি।
Advertisement
এদিকে ফ্ল্যাটটি থেকে কী উদ্ধার করা হয়েছে, তা এখনও জানায়নি র্যাব। তবে অভিযানের একপর্যায়ে র্যাব সদস্যরা লোহার শাবল নিয়ে ফ্ল্যাটের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু এটি দিয়ে তারা কী করেছেন, কিছুই জানানো হয়নি।
বুধবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তাকে প্রথমে র্যাব সদর দফতরে নেয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাৎসহ প্রতারণার অভিযোগে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। বুধবার সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।
Advertisement
এআর/জেডএ/জেআইএম