গ্রীষ্মের পরে বর্ষা আসে স্বস্তির বার্তা নিয়ে। বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে প্রকৃতি আরও স্বচ্ছ এবং ঝলমলে হয়ে ওঠে। কিন্তু এসবের পাশাপাশি বর্ষাকালে কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এসময় স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ার সঙ্গে যোগ হয় পোকামাকড়ের উপদ্রব। বাড়ি-ঘর স্যাঁতসেঁতে, ফাঙ্গাস এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ মানুষের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি নিজেদের বাড়ি-ঘরও সংক্রমণ মুক্ত রাখা খুবই জরুরি। বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে এক্ষেত্রে করণীয়।
Advertisement
বর্ষার সময়ে জীবাণু এবং অণুজীবের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এর প্রধান কারণ হলো থার্মাল ইনসুলেশন না হওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, ঘরে সূর্যের আলো এবং হাওয়া ঠিকভাবে প্রবেশ না করা। এর ফলে বাড়ি-ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় এবং ছত্রাকের সমস্যাও দেখা দেয়।
ঘর স্যাঁতসেঁতে থাকার কারণে অলটারনারিয়া, অ্যাসপারগিলাস, পেনিসিলিয়ামের মতো ফাঙ্গাল প্রজাতিগুলি বিকাশ লাভ করে। যার ফলে হাঁপানি, অ্যালার্জি, ডার্মাটাইটিস এবং রাইনাইটিস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
বাথরুম বা টয়লেট, বন্ধ ঘর অর্থাৎ যেসব জায়গা সবসময় স্যাঁতসেঁতে থাকে এবং ছত্রাক ও পোকামাকড় সহজেই বৃদ্ধি পেতে পারে, সেখানে কীটনাশক ছড়িয়ে এবং ফিউমিগেশন করে মশা, মাছি, পোকামকড় দূর করতে পারেন।
Advertisement
ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দিন। বাড়ির দরজা, জানালা অল্প সময় হলেও খোলা রাখুন।
সপ্তাহে অন্তত একদিন রান্নাঘরটি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
লবঙ্গ এবং দারুচিনি পানিতে প্রায় আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পানি ফুটিয়ে এটি রুম ফ্রেশনার হিসেবে ব্যবহার করুন।
রান্নাঘর এবং বাথরুম, যেখানে সবথেকে বেশি পানি ব্যবহৃত হয় এবং সূর্যের আলো সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না, এমন জায়গাগুলো শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। বাথরুমের টাইলসের ফাঁকে ফাঁকে ময়লা লেগে থাকলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা অবশ্যই জরুরি।
Advertisement
স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়া দেওয়ালগুলো ঠিক করতে, ফাটলগুলোতে ওয়াটারপ্রুফ চুন ভরে দিন। এর ফলে আবার সেই জায়গা স্যাঁতসেঁতে হবে না।
আলমারিতে ন্যাপথলিন রেখে দিন, সব ধরনের আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখে এটি। কাপড়কেও ঠিক রাখে।
ন্যাপথলিন, স্পিরিট ও নিমের তেল পোকামাকড় দূর করতে বেশ উপকারী।
দামি আসবাবের নিচে একটি টিনের বা কাঁচের পাত্রে এক টুকরো সালফার রেখে দিন, এতে আসবাব ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকবে।
এইচএন/এএ/পিআর