আইন-আদালত

ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাসার তিন দিনের রিমান্ডে

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাসারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম মারুফ চৌধুরী তাকে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Advertisement

আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) তাকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে নৌ-পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল আলম। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার (১২ জুলাই) রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে র‌্যাব-১০ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।

Advertisement

তিনি বলেন, গ্রেফতার ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাসার মোল্লা (৫৭) মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার মন্ডলগাতির কলাগাছি গ্রামের মৃত সিরাজুল হক মোল্লার ছেলে।

অতিরিক্ত ডিআইজি কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ‘ঘটনার পর আবুল বাসার আত্মগোপনে চলে যান। বাসার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করে আসছিলেন। ঘটনার দিনই তিনি মাগুরায় নিজ গ্রামে চলে যান এবং রাতের খাবার খেয়ে পাশের একটি গ্রামে একজনের বাড়িতে রাতযাপন করেন। পরদিন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা চলে যান। সেখানে দুদিন অবস্থান করার পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আখালিপাড়ায় তার ভায়রার বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে তিনি ঢাকার দিকে আসছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

গত ২৯ জুন সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ‘ময়ূর-২’ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এমএল মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার সময় ‘ময়ূর-২’ এর মূল মাস্টার নয়-এমন একজন শিক্ষানবিশ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া লঞ্চের কোনো ত্রুটি নয়, মাস্টারের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Advertisement

লঞ্চডুবির ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- এমভি ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা ও জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।

জেএ/এমএফ/এমএস