বাইরে থেকে অনেক কিছুই রোমাঞ্চকর মনে হয়। যার কাঁধে পড়ে, সেই কেবল উপলব্ধি করতে পারে দায়িত্ব কি জিনিস। জো রুটের অনুপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড দলকে টেস্টে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বেন স্টোকসও বুঝতে পারছেন, কাজটা কত কঠিন।
Advertisement
সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকবেন বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন নিয়মিত অধিনায়ক জো রুট। ফলে এই টেস্টকে ইংলিশদের নেতৃত্ব দিয়েছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। আর প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পেয়েছেন তিক্ত স্বাদ। ক্যারিবীয়দের কাছে ৪ উইকেটে হেরে ইংলিশরা ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে সিরিজে।
সাউদাম্পটনে বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টের চতুর্থ দিন শেষেই ইংলিশ সমর্থকরা মোটামুটি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন, এই টেস্ট বাঁচানো কঠিন হবে স্বাগতিকদের জন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৮৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। লিড তখন ১৭০ রানের।
বাকি দুই উইকেট নিয়ে কত দূর যাওয়া যাবে, কত টার্গেট দিলে জয়ের সম্ভাবনা থাকবে, এ সব চিন্তা তো অধিনায়কের চেয়ে বেশি আর কারও নয়। রাতে তাই একদমই ঘুমাতে পারেননি স্টোকস। টেস্ট হারের পর বুঝতে পারছেন, অধিনায়ক রুটের কেন রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটে।
Advertisement
জো রুটকে নিয়ে স্টোকস বলেন, ‘জো বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। সে না খেলায় আমাদের জন্য বড় ক্ষতি হয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে আমার আর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে না। জো’য়ের জন্য শুভকামনা। গত রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। কারণ অনেক চিন্তা মাথায় আসছিল : কিভাবে ম্যাচটা শেষ হবে, কি হতে যাচ্ছে। আমি এখন বুঝতে পারছি, জো’য়ের কেন অনেক সময় ঘুম হয় না। তাকে তো প্রতি ম্যাচেই এসব চিন্তা করতে হয়।’
টেস্ট হারের পর অনুমিতভাবেই একটি প্রশ্ন উঠলো- স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো অভিজ্ঞ পেসারকে বাদ দেয়াটাই কি কাল হয়েছে? জবাবে নিজের সিদ্ধান্তকে ভুল মানতে চাইলেন না স্টোকস। বললেন, ‘আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল আছি। যদি না থাকি, তবে যাদের দলে নিয়েছি তাদের কাছে কি বার্তা যাবে? আমি ভেবেছিলাম, শেষ পর্যন্ত পেস খুব কার্যকরী হবে। আমরা হয়তো হেরে গেছি, কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে ঠিক আছি।’
এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement