দেশের সব উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক ও কাজের মানের যথার্থতা যাচাইয়ের সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, করোনাকালে অনলাইনে মিটিং (জুম মিটিং) করে ৫৭ লাখ টাকা বাগিয়ে নেয়ার। বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান এই জুম মিটিংয়ের আয়োজন করায় নিয়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। পাশাপাশি মিটিংয়ের খাবার বিল দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়া কলম, ফোল্ডার, প্যাড, ব্যাগ ইত্যাদি খরচ দেখিয়েও বিল করা হয়েছে।
Advertisement
গত ১১ জুলাই দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক এসব তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে কথা হয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে। তার দাবি, এসব তথ্য সঠিক নয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি এর মধ্যে আইএমইডি সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, করোনা শুরু হওয়ার আগের মিটিংয়ের জন্য তারা এই বিল পরিশোধ করেছেন। মানে, যখন মানুষ মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে মিটিং করতো, সেটা বিবেচনায় পেমেন্ট করেছে। করোনা শুরু হওয়ার পরে দু-একটা মিটিং করেছে, যারা উপস্থিত ছিল শুধু তাদের পেমেন্ট করেছে। যারা ঘরে থেকে মিটিং করেছে, তাদের বিল দেয় নাই। ওই সময়ের পেমেন্ট করা হয়েছে এবং এগুলোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও আছে। এটা আমাকে সচিব জানিয়েছেন।’
Advertisement
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে কয়েকটা পেমেন্ট হয়েছে, সব করোনার আগে। করোনার পরে কিছু পেমেন্ট হয়েছে, সেটার বিস্তারিত রিপোর্ট আমাকে জানাবে। আমি তারপরও সচিবের কাছ থেকে লিখিত রিপোর্ট চেয়েছি।’
উল্লেখ্য, জুম মিটিংয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, জুম মিটিংয়ে ১০০ ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন, এমন প্যাকেজে এক মাসে খরচ হবে ১৪ দশমিক ৯৯ ডলার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের ব্যবসা মিটিংয়ের জন্য এক মাসে ১৯ দশমিক ৯৯ ডলার খরচ। তাতে ৩০০ ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া আরও বেশকিছু প্যাকেজ আছে।
পিডি/এসএইচএস/এমএস
Advertisement