এমন একটি ওষুধ আবিষ্কারের পথে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা সেবনে মানুষের আয়ু বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে এই ওষুধ মাছির ওপর প্রয়োগে সাফল্য পাওয়া গেছে। মানব শরীর নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করছেন বিজ্ঞানীরা।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ডর্নসাইফ কলেজ অব লেটারস, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গবেষকরা এই গবেষণা করেছেন। এ বিষয়ে গত ১০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জরাবিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘জার্নাল অব জেরোনটোলজি : বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস’-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
গবেষকরা বলেছেন, মিফপ্রিস্টন নামের একটি ওষুধ মানুষের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি মিফপ্রিস্টন আরইউ-৪৮৬ নামেও পরিচিত। দুটি ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর ওপর ল্যাবরেটারিতে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। আর তাতেই দেখা যায় যে, এই ওষুধ মানুষের বাঁচার সময়সীমা বাড়িয়ে দিতে পারে।
মানব শরীর নিয়ে আশা
Advertisement
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিফপ্রিস্টন মাছির শরীরে যা করেছে, তার অনেকাংশ কাজই মানব শরীরে করে থাকে। এর দ্বারা প্রজনন শক্তি মানুষ হারায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে, মানুষের আয়ুও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বহু প্রাণীর ওপর ওষুধের একই প্রতিক্রিয়া। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বহু প্রাণীর ওপরই একই রকমের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, মিফপ্রিস্টন। ফলে এবার মানব শরীর নিয়ে আশা করতে শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এখনও বহু গবেষণা বাকি রয়েছে।
ওষুধের ব্যবহার
অনঅভিপ্রেত গর্ভধারণ রোধে মিফপ্রিস্টন আরইউ৪৮৬ প্রয়োগ করা হয়। কখনও ক্যানসার নিরাময়ের কাজেও এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধ মহিলা ড্রসফিলা মাছির শরীরে একাধিক ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। আর কয়েকটি পরীক্ষা বলছে, এই ওষুধ প্রাণীদের শরীরেও ব্যাপক কার্যকরী হতে পারে।
Advertisement
মহিলা ড্রসফিলা মাছির দেহে এই ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা গেছে, তাদের জন্মদানের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, অথচ জীবনের বাঁচবার সময়সীমা বেড়ে যাচ্ছে। বহু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যাচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে বড় আবিষ্কার বলে মনে করা হচ্ছে।
জেডএ/জেআইএম