শিল্পে বিনিয়োগ বিষয়ে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা সফররত ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধিদলটি বিজিএমইএ ভবনের অ্যাপারেল ক্লাবে সোমবার বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।রোববার থেকে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)- এর একটি প্রতিনিধিদল টেক্সটাইল মিশন নিয়ে ৩ দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ১২ সদস্যের এ প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মি. এস ক্যাথিরিশ।সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্রখাতে যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চাইলে ভারতেও পোশাক ও বস্ত্রখাতে যৌথ বিনিয়োগ হতে পারে।বিজিএমইএ সভাপতি জনাব মো. সিদ্দিকুর রহমান বিজিএমইএ দফতরে সিআইআইয়ের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিজিএমইএ এদেশে সকল বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়।তিনি বলেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের পশ্চাৎ সংযোগ শিল্পখাত ও হাই-ভ্যালুড পণ্যখাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভবনা রয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখাতগুলোতে একক অথবা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে এলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরাই উপকৃত হবেন। এ খাতগুলোতে বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে আহ্বান জানানো হয়।বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, ভারতে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেও পাশাপাশি কিছু অ-শুল্ক বাধা যেমন জটিল ভিসা পদ্ধতি, ট্রানজিট সমস্যা এবং বাণিজ্যের কিছু কৌশলগত বাধার কারণে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ভারতে পোশাক রফতানি করতে পারছে না, যা দুটি দেশের বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতার পেছনে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। এই অশূল্ক বাধাগুলো দূর করার জন্য বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সহযোগিতা কামনা করেন।ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। তবে অন্ধ্র প্রদেশের নীতিমালা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। সাক্ষাৎকালে ভারতে বাংলাদেশের পোশাকের ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা কোনো যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন কি-না, তা নিয়েও আলোচনা হয়।আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান (বাবু), পরিচালক শহিদুল হক মুকুল, পরিচালক ইনামুল হক খান (বাবলু), পরিচালক মো. আশিকুর রহমান (তুহীন), পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং বিজিএমইএ সদস্য মাসুদ কাদের মনা প্রমুখ।বিএ
Advertisement