প্রতিদিন ভারতে আক্রান্তের রেকর্ড আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। দেশটির সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার নতুন করে আরও ২৭ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; যা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এযাবৎকালে ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
Advertisement
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান শনিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলছে, ভারতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে আট লাখের কাছাকাছি চলে গেছে। ফলে অনেক রাজ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা না ভেবে লকডাউন পুনর্বহাল করতে শুরু করেছে।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত শীর্ষ তিনটি দেশের একটি হলো ভারত। গত শনিবার নতুন করে শনাক্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ১১৪ জন। তবে করোনায় মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার কিছুটা কম। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় সাড়ে আট লাখের মধ্যে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা ২২ হাজার ১২৩ জন।
দুই কোটি ত্রিশ লাখ মানুষের বসতি ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ সপ্তাহান্তে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি রাজ্য সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে বেশি সংক্রমিত জেলাগুলোতে ফের লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা চাল করেছে। তবে গোটা ভারতে লকডাউন ঢিলেঢালা।
Advertisement
প্রাদুর্ভাবের প্রাথমিক ধাপে লকডাউন জারি করে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ যেসব দেশ করেছে সেই তালিকায় নাম উঠেছিল ভারতের। কিন্তু লকডাউন নিষিধাজ্ঞা তুলে নেওয়া কিংবা শিথিল করার পর থেকেই দেশটিতে সংক্রমণের দ্রুত ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে জুন ও জুলাইয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল বেশি।
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ থেকে বেড়ে আট লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ৩ দিন। আক্রান্ত চার থেকে পাঁচ লাখ পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ৬ দিন, এরপর পাঁচ থেকে ছয় লাখ হয়েছিলে মাত্র ৫ দিনে। আর ৬ থেকে সাত লাখে যেতে সময় লাগে চারদিন।
রাজ্যভিত্তিক হিসাবে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দ্বিতীয় স্থানটি তামিলনাড়ুর। তৃতীয় স্থানে দিল্লিতে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্নাটক ও তেলেঙ্গানাসহ আটটি রাজ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি।
তবে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ভারতের কথিত লকডাউন আরও শিথিল হচ্ছে। ভারত যত স্বাভাবিক হচ্ছে, করোনা সংক্রমণ তত বাড়ছে এবং সংক্রমণ যত বাড়ছে নিষেধাজ্ঞাগুলোও তত বেশি করে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে হচ্ছে। ভারতের বর্তমান করোনা সংক্রমণের চিত্র এমনটাই।
Advertisement
এসএ