বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু শোকের সাগরে যেন ভাসিয়ে দিয়েছে তার ভক্ত-অনুরাগীদের। প্রিয় তারকার অকালে চলে যাওয়াটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। অনেকে মনের শান্তি খুঁজে নেয়ার জন্য এটাকে খুন দাবি করে যাচ্ছেন। যদিও এটিকে এখন পর্যন্ত আত্মহত্যা বলেই প্রমাণ পেয়েছে মুম্বাইয়ের গোয়েন্দা পুলিশ।
Advertisement
এরমধ্যে কেউ কেউ আবার প্রিয় নায়কের শোক বুকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়ে উঠেছেন। সর্বশেষ এমন আরেকটি খবর পাওয়া গেল ভারতীয় গণমাধ্যমে। সংবাদ প্রতিদিন বলছে, সুশান্তের মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠতে না পেরে প্রিয় বলিউড অভিনেতার অনুকরণেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে একাধিক ভক্তের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
সে তালিকায় এবার যুক্ত হলো দেরাদুনের এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর নাম। যিনি সুশান্তর শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।
খবরে জানা গেছে, ১৭ বছরের ওই কিশোরীর ঘর থেকে কোনোরকম সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে সুশান্ত সিং রাজপুত এবং টিকটক স্টার সিয়া কক্করের মৃত্যুর শোকেই সে মুষড়ে পড়েছিল বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
Advertisement
তারা বলেন, শুক্রবার দেরাদুনে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী। সে চলতি বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। আত্মঘাতীর পরিবারে রয়েছেন তার বাবা, মা এবং দুই দাদা।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসার অজয় রাওয়াত জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই সুশান্ত সিং রাজপুত এবং টিকটক স্টার সিয়া কক্করের আত্মহত্যা নিয়ে বারবার কথা বলত এই কিশোরী। তার পরিবারের সদস্যরাই জানিয়েছে একথা। গত বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সেরে সে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়। পরের দিন সকালে অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি। এরপরই বাড়ির লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাকে।
পুলিশের দাবি, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। এমনকী, তার পরিবারের সদস্যরাও আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি। তবে জানা গিয়েছে, গত ১০-১২ দিন ধরেই নাকি সুশান্ত এবং সিয়া কক্করের আত্মহত্যার কথা প্রায়ই বলত দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। মেয়েটির বাবা তাকে অনেক বুঝিয়েছিলেন যে ওই সমস্ত ঘটনার কথা বেশি চিন্তা না করতে। কিন্তু তার কথাবার্তায় পরিবারের সদস্যরা বুঝতেই পারেননি যে তাদের মেয়েও তার প্রিয় মানুষদের মতো একই পথে হাঁটতে চলেছে।’
ছাত্রীর ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
Advertisement
এলএ/জেআইএম