বিশ্বজুড়ে এক ভয়াবহ সংকট তৈরি করে রেখেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন। সে কারণেই বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির কাজে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
Advertisement
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন। তবে ভ্যাকসিনের দৌঁড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে। এরই মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে।
সব পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাজারে আসতে কত দেরি এই ভ্যাকসিনের তা জানতে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তবে যতই জরুরি হোক, ছয় মাসের আগে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনা নেই বলে পরিষ্কার জানিয়েছেন গবেষকরা।
Advertisement
তবে সম্প্রতি ইকোনমিস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী আগস্টের শেষের দিকেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ফলাফল সম্পর্কে জানা যাবে।
পরীক্ষায় যদি সফলতার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হবে অর্থাৎ অক্টোবরের মধ্যেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যাবে।
সম্প্রতি অক্সফোর্ডের এ ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য চুক্তি হয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে। এর উৎপাদন হবে ব্রাজিলেও।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে আট হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এ গবেষণার প্রধান ডা. সারা গিলবার্ট জানিয়েছেন, প্রাথমিক ফলাফলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সফল হয়েছে তাদের ভ্যাকসিন। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে।
Advertisement
অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে অন্তত বছরখানেক প্রতিরোধ গড়তে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন ডা. গিলবার্ট। তবে সবার আগে ভ্যাকসিনের সুরক্ষার বিষয়টিকেই জোর দিয়ে দেখছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনকে এগিয়ে রেখছে। সংস্থাটি বলছে, এই ভ্যাকসিনের দাম হাতের নাগালের মধ্যেই রাখা হবে। এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলছে, তারা কয়েকশ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করতে যাচ্ছে। আর প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম রাখা হতে পারে এক কাপ কফির দামের সমান।
টিটিএন/এমএস