আন্তর্জাতিক

ভালোবেসে বিয়ে করে ৩০ বছর পর প্রতিদান এই!

শেখ মুহাম্মদ হাসিম। নিজে মুসলমান হলেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সনাতন ধর্মের গোপা চক্রবর্তীকে। স্ত্রীর কথামতো থাকতেন ঘরজামাইও। অটো চালিয়ে সংসারের চাকা ভালোই ঘুরাচ্ছিলেন তিনি। এভাবে কেটে যায় ৩০টি বছর।

Advertisement

তবে এই সুখের দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরাল লকডাউন। অটো চালানো বন্ধ, আয় নেই, তাই ঘর থেকে স্বামীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন স্ত্রী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগিল জেলার চন্দননগর শহরের বেনেপুকুরে এমন ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

১৯৯২ সালে চন্দননগরের ফটকগোড়ার বাসিন্দা গোপা চক্রবর্তী বিয়ে করেছিলেন শেখ মুহাম্মদ হাসেম। বিয়ের পর থেকে তিনি ঘরজামাই থাকতেন। স্ত্রী, মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়িকে নিয়ে সংসার। চন্দননগর স্টেশন রোডে অটো চালাতেন তিনি।

Advertisement

কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে ভারত সরকার দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করলে বন্ধ হয়ে যায় হাসেমের রোজগার। সংসার চালানোর টাকা দিতে না পারায় বাড়ি থেকে বের করে দেন স্ত্রী ও মেয়ে। এরপর বেশ কিছুদিন রাস্তাতেই কাটান তিনি। পরে স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। খাবার, জামা-কাপড় দেন তারা।

যার সঙ্গে দীর্ঘ ৩০ বছর সংসার করলেন, সেই ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে এমন অপ্রত্যাশিত আচরণে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন শেখ হাসেম। তিনি বলেন, ‘এতদিন টাকা দিতে পারতাম, সুখ ছিল সংসারে। এখন টাকা নেই, তাই ঘরবাড়িও নেই।’

তবে স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে মোটেও অনুতপ্ত নন স্ত্রী গোপা। তার সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘স্বামী হলে রোজগার করতেই হবে। বাড়ির বউ রান্নাবান্না করবে, স্বামী ঘরে টাকা আনবে। টাকা রোজগার করতে না পারলে নিজের পথ নিজে দেখে নাও। আমি ওতসব টানতে পারব না।’

এসআর/পিআর

Advertisement