লাইফস্টাইল

পেটের মেদ কমাবে এই পানীয়

দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকার কারণে আমরা অনেকেই কম-বেশি অলস হয়ে উঠেছি। বেশিরভাগ সময় ল্যাপটপে কাজ কিংবা মোবাইল স্ক্রলিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা প্রচুর বেড়েছে। এতে করে পেটের মেদ বেড়ে চলেছে সমানতালে, বাড়ছে ওজনও।

Advertisement

আমাদের জীবনযাপনের ধরন এবং খাবারের তালিকা ওজন বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট সহায়ক। বিশেষ করে পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। শরীরের অন্যান্য সমস্ত অঙ্গ থেকে ওজন হ্রাস করা সহজ, কিন্তু পেটের মেদ কমানো মুখের কথা নয়।

তবে এমন কিছু কৌশল এবং টিপস রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের সাথে যুক্ত করলে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে এমন একটি পানীয় সম্পর্কে, যা সহজেই ঘরে বসে তৈরি করা যায় এবং আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

Advertisement

পানীয়টিকে আপেল সাইডার ভিনেগার এবং বেকিং সোডা পানীয় বলা হয়। এটি স্বাস্থ্যকর ক্ষারীয় বিপাকীয় পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং আপনার ত্বকের উন্নতি করতে সহায়তা করে।

কীভাবে কাজ করেএকাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আপেল সাইডার ভিনেগার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। আপেল সাইডার ভিনেগারের প্রধান সক্রিয় উপাদান বিপাক বাড়ায়, ক্ষুধা দমন করে, লিভার এবং পেটে ফ্যাট স্টোরেজ হ্রাস করে ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করে, ভাইরাল সংক্রমণের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে।

বেকিং সোডা দ্রুত ফ্যাট গলাতে কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এটি হজমে সহায়তা করে, ফ্যাট কেটে দেয় এবং পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।

বেকিং সোডা ও আপেল সাইডার ভিনেগার মিলিয়ে খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা উন্নত করে, পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতি দেয়। ফলে এটি ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি আপনাকে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

Advertisement

কীভাবে তৈরি করবেনএই পানীয়টি প্রস্তুত করা অত্যন্ত সহজ এবং খুব কম সময় লাগে। একটি গ্লাসে দুই চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার এবং এক চা চামচ বেকিং সোডা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। গ্লাসটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পান করুন।

লক্ষ করুন:এই পানীয় পান করার আগে, চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিন। বিশেষ করে আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন, হজমের সমস্যা বা অন্য কোনো পেটের সমস্যা, মুখ বা খাদ্যনালীজনিত সমস্যা থাকে। নিয়মিত খাবার খাওয়া শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে।

এইচএন/এএ/এমএস