করোনাভাইরাসের প্রকোপে বছরের শুরু থেকেই স্থবির গোটা দুনিয়া। থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা। বন্ধ ছিল মিডিয়া পাড়ারও কার্যক্রম। তবে স্বস্তির বিষয় হলো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সবকিছু। করোনাভীতি কাটিয়ে কলকাতার টালিগঞ্জের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও শুরু হয়েছে কার্যক্রম। চলছে নতুন ছবির শুটিংও।
Advertisement
করোনাকালের দীর্ঘ বিরতি শেষে শুক্রবার (১০ জুলাই) টলিউডে ‘এসওএস কলকাতা’-র শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে লকডাউন পরবর্তী প্রথম পথচলা।
অংশুমান প্রত্যুষের পরিচালানায় নতুন ছবিতে নায়ক হিসেবে রয়েছেন যশ দাসগুপ্ত। আর নায়িকা মিমি ও নুসরাত। অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড নিয়ে ছবির গল্প।
কালো টপ, রিপড জিনস আর গা ভর্তি ট্যাটু! নুসরত জাহান কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন, গাড়ি থেকে না বেরোতে। আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এজেন্ট ৯-কে খোঁজার।
Advertisement
সাতটা টেকের পর শট পছন্দ হলো পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের। লকডাউন পরবর্তী প্রথম বাংলা ছবি ‘এসওএস কলকাতা’-র প্রথম দৃশ্যের শুটিংয়ে নুসরাতকে পাওয়া গেল এমনই এক অচেনা রূপে।
বেশ কয়েক মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে নুসরাত। কেমন লাগছে? ‘অনেক দিন পর কাজ শুরু করলাম তো। বেশ নার্ভাস লাগছে,’ বললেন নুসরাত।
ছবির পরিচালক অংশুমান বললেন, ‘লকডাউনে গল্প লিখেছি বলে, নিয়মবিধি মেনে শুটিং করতে অসুবিধা হবে না। অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড নিয়েই ছবির গল্প। এক অফিসারের চরিত্রে যশ দাসগুপ্ত। ওই বিভাগের ট্র্যাকিং রিলেটেড কাজের এক দক্ষ কর্মী নুসরাত।’
দ্বিতীয় দিনের শুটিং মিমি ও যশকে নিয়ে। ছবিতে যশের স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন মিমি। দুই নায়িকার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? ‘মিমি ভালো অভিনেত্রী। আবার নুসরাত পরিচালকের কথামতো নিজেকে ভাঙতে পারেন,’ বললেন যশ দাসগুপ্ত।
Advertisement
নতুন প্রযোজনা সংস্থা, একসঙ্গে দুই নায়িকাকে পর্দায় কতটা সামলাতে পারবেন পরিচালক! তবে জানা গেল, দুই নায়িকাকে একসঙ্গে কোনো দৃশ্যেই রাখা হয়নি
এমএফ/জেআইএম