রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধীতাকারীরা দেশের স্বার্থবিরোধী।তারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতেই এমন বিরোধীতা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার বিকালে বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারিদের অভিযোগ বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন। সুন্দরবনের ইউনেস্কো হেরিটেজ থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৬৯ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ হচ্ছে। এতে অত্যাধুনিক আল্ট্রা সুপার থারমাল প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষণকারি কালো ধুয়া বের হবে না, ছাই উড়ার সম্ভবনা নেই, পানি-বায়ু কোনোটি দূষণ হওয়ার আশঙ্কা নেই। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হতে এলাকার মানুষ, সুন্দরবন বা এর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র, পশুর নদী, স্থানীয় এলাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণকারী সংস্থা সমূহের সকল প্রকার নিয়ম-কানুন মেনেই নির্মাণ করা হচ্ছে। কোনো কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি দেশের দেশের সার্বিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে এমনটি আশঙ্কা করে তিনি এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।এসময় তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নানা ইতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়।সংবাদ সম্মলেনে পাওয়ার সেল-এর ডিজি মোহাম্মদ হোসেন, মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট্র (এমএসটিপিপি)-এর এমডি উজ্জ্বল ভট্টাচার্য, পরিবেশবিদ ড. আনসারুল করিমসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এএসএস/এএইচ/এমএস
Advertisement