দেশজুড়ে

বড় ছেলে সোহাগের কাঁধে সংসারের দায়িত্ব

সোহাগের বয়স আর কতই হবে নয় কিংবা দশ। অথচ এই বয়সে সে সংসারের ঘানি টানছে। প্রতিদিন শায়েস্তাগঞ্জ থেকে পান কিনে আশপাশের চার-পাঁচ গ্রাম ঘুরে বিক্রি করে তার লভ্যাংশ দিয়ে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। সোহাগ ৮নং শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের মরড়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের কবির মিয়ার ছেলে।

Advertisement

সোহাগের পরিবারের সদস্য ৬ জন। তারা তিনভাই ও এক বোন। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় এই বয়সেই দায়িত্ব পড়েছে সংসার চালানোর। আলাপচারিতায় জানা গেল সে মরড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির অনিয়মিত ছাত্র। গত একবছর ধরে তার বাবা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পঙ্গু অবস্থায় বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় দিনাতিপাত করছেন।

যে বয়সে খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা সে বয়সে সোহাগ জীবনযুদ্ধে লিপ্ত। প্রতিদিন ভোর বেলা বের হয়, সারাদিন হেঁটে হেঁটে পানের খিলি বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফেরে।

এই করোনাকালে সোহাগের পরিবার তেমন কোনো সরকারি সহায়তাও পায়নি। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা তাকে সাহায্য করে।

Advertisement

সোহাগের চাচা খাইরুল আলম উজ্জল জানান, সোহাগ বেশ প্রতিভাবান ছেলে। ঠিকমতো আর্থিক সহায়তা পেলে সে ভালো করে পড়াশোনা করতে পারত। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য সে এই বয়সেই কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করছে।

মরড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা শেখ মো. জামাল বলেন, আমি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। সোহাগের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য হবিগঞ্জের সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মরড়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুর হোসেন বলেন, সোহাগের বাবা গাছের ব্যবসা করতেন। তবে বর্তমানে তিনি অক্ষম। আমি সোহাগের পরিবারকে সরকারি বরাদ্দ এলে সহায়তা করার চেষ্টা করব।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আম্বিয়া খাতুন জানান, কয়েকদিনের মধ্যেই করোনার জন্য ত্রাণ বিতরণ করা হবে। আমি সোহাগের পরিবারকে সহায়তা করব।

Advertisement

কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এফএ/এমএস