রাজধানীর মহাখালীতে এমএলএম পদ্ধতিতে অনুনোমোদিত ওষুধ বিক্রি ও মজুদের অভিযোগে পিনাকল সোর্সিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ ও ৬ কর্মকর্তাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদের জেল জরিমানা প্রদান করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএসটিআই এর সহযোগিতায় র্যাব-২ এ অভিযান পরিচালনা করে। আদালত পরিচালনা করেন র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন।এসময় র্যাব-২ এর ডিডি (ডেপুটি ডিরেক্টর) ড: দিদারুল আলম, বিএসটিআই এর পরিদর্শক সাহেদুল আলম ও ওষুধ প্রশাসন ও অধিদফতরের ড্রাগ সুপারভাইজার সৈকত কুমার কর উপস্থিত ছিলেন।ড. দিদারুল আলম বলেন, ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালীর বাণিজ্যিক এলাকাস্থ ১০৩, রহমান ভবনের তৃতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় কোম্পানির ৬ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কার্যালয়স্থ একটি কক্ষ থেকে ৬৪ ধরনের অনুনোমোদিত ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গি রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থিত কারখানা থেকে ৫৬ ধরনের বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ওষুধের দাম প্রায় ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এসব ওষুধের ৮০ শতাংশই যৌন উত্তেজক হিসেবে বিক্রি করে প্রতারণা করে আসছিল তারা।ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন বলেন, পিনাকর সোর্সিং নামে এই কোম্পানিটি দীর্ঘদিন থেকে ওষুধ তৈরি ও বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছে। কোম্পানিটির ওষুধ প্রশাসন ও অধিদফতরের লাইসেন্স নেই। লাইলেন্সবিহীন অবস্থায় তারা অনুনোমোদিত ওষুধ তৈরি ও বিক্রি করে আসছে।তাদের ওষুধের মান খুবই নিম্নমানের। এসব ওষুধের কারণে শ্বাসকষ্ট, এলার্জি, ক্যান্সারসহ নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।নিজেদের অপরাধ স্বীকার করায় কোম্পানিটির সিও দেবাশীষ ভট্টাচার্যকে এক বছরের জেল ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের জেল এবং এজিএম রোকনুজ্জামান কাজলকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের জেল, সেলস এক্সিকিউটিভ শাখাওয়াত হোসেন ও কারখানার সাপ্লাই ইনচার্জ রাসেল আকন্দকে এক বছরের জেল, কারখানার স্টোক ইনচার্জ তপন খানকে এক লাখ ও একাউন্টস এক্সিকিউটিভ এসএম হাসানকে দুই লাখ করে জরিমানা করা হয়েছে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন বলেন, এটাই বাংলাদেশে প্রথম যে তারা এমএলএম সিস্টেমে ও হকারদের মাধ্যমে ওষুধ বিক্রি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে জেলে পাঠানো হবে।জেইউ/এসকেডি/এমএস
Advertisement