ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১, ১৭, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগসহ উত্তরা এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৮ আসন। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়েই উন্নয়নে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তার নির্বাচনী যেসব এলাকায় রাস্তাঘাট ছিল না। জলাবদ্ধতা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী সেই জলাবদ্ধতা বড় বড় ড্রেন করে এলাকাবাসীকে মুক্তি দিয়েছেন। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বর্ধিতকরণে কাজ করেছেন। ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনের ভাটারা, খিলক্ষেত, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখানসহ সবকটি থানাতেই ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
Advertisement
উত্তরখানের মাজার রোড় কাঁচাবাজারের দোকানী আলমগীর জানান, বিগত সময়ে এই এলাকার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগে একটু বৃষ্টি হলেই এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। এখন সেটি হয় না, কারণ বড় বড় ড্রেন তৈরি করে উঁচু রাস্তা করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এলাকার জনগণের কাছে বলেছিলেন, মন্ত্রী হবার কোন খায়েশ আমার আর নেই। মন্ত্রী হয়ে আমি দেখেছি তার যে ‘কি স্বাদ’। আমি মন্ত্রী নয় সংসদ সদস্য (এমপি) হয়ে থাকতে চাই। আগামীতে এমপি হয়ে জনগণের পাশে থেকে এলাকাবাসির উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেছিলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে চারটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্টান ও একটি সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, মন্দির, গির্জাসহ ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। আগামীতেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
Advertisement
সর্বত্র উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন তিনি। স্বাস্থ্য বিভাগে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং শিক্ষার গুণগত মানোনয়নে বিশেষ কমিটি গঠন করে তদারকির ব্যবস্থা করেছেন।
উত্তরখানের পোলার টেক এলাকার বাসিন্দা আজিম বলেন, সাহারা খাতুন এমপি হওয়ার আগে গত ২০ বছরে এ এলাকা ছিল অবহেলিত। যেসব এলাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়েনি সেসব এলাকাতেও তিনি, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট ও পাকা রাস্তা করে দিয়েছেন। যেসব এলাকার লোকজন সব সময় পায়ে কাদা মেখে হাঁটাহাঁটি করতো তারা এখন সেই রাস্তায় জুতা সেন্ডেল পায়ে হাঁটছে। প্রতিটি মহল্লায় রাস্তাঘাট পাকা হওয়ায় উত্তর ও দক্ষিণ খানের গুরুত্ব বেড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এবং বেশ কিছু এলাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়ায় এলাকায় দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। ফলে এলাকার জমির দামও বেড়ে গেছে। মানুষ জমি কিনে বহুতল ভবন করছে এবং ব্যবসা বাণিজ্যেও দ্রুত প্রসার ঘটছে।
তিনি বলেন, সাহারা খাতুন এলাকাকে মাদক মুক্ত করতে প্রতিটি এলাকায় ছাত্র, যুবক ও মুরব্বিদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছিলেন। ফলে তার নির্বাচনী এলাকা মাদক মুক্ত হয়েছিল। সাহারা খাতুনের মৃত্যুর খবরে এলাকাবাসী ব্যথিত হয়েছেন।
এফএইচএস/এএইচ/এমএস
Advertisement