আন্তর্জাতিক

১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী বিদেশিরাও ঢুকতে পারবেন না ইতালি

গত দু’সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী বিদেশি নাগরিকদের জন্যেও প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইতালি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশসহ ১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশেষ অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করেছেন ইতালীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরাঞ্জা।

Advertisement

ইতালির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মলদোভা, ওমান, পানামা, পেরু এবং ডমিনিকান রিপাবলিক।

১৩টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অতিরিক্ত শেংগেনের বাইরের সব দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য এখনও কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ফেসবুকের এক পোস্টে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মহামারি সবচেয়ে তীব্র পর্যায়ে রয়েছে। গত কয়েক মাসের ত্যাগ আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না।’

Advertisement

এর আগে, আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সব ফ্লাইট ও যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইতালি। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ।

বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট মহলে কাতার এয়ারওয়েজের পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে যে কোনো ধরনের যাত্রীর ইতালিতে প্রবেশে বিধিনিষেধ রয়েছে। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ফ্লাইট বন্ধ করা হলো।

তবে এ বিষয়ে ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে তারা জাগো নিউজকে জানায়, ইতালির সরকারের তরফ থেকে দূতাবাসকে এমন কিছু জানানো হয়নি। বাংলাদেশের ফ্লাইটে এক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার কথাই অবগত তারা।

গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া বিশেষ ফ্লাইটের ২১ যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে ইউরোপের দেশটিতে। রোমের ফিউমিসিনো ও মিলানের মালপেনসা বিমানবন্দরে অবতরণ করা ১৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ১৬৭ জনকে সেখানে নামতে না দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছে ইতালি।

Advertisement

বাংলাদেশের ফ্লাইটে করোনায় আক্রান্ত যাত্রী কীভাবে গেলো, তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে ইতালির সংবাদমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ওই যাত্রীরা ইতালি গেছেন।

কেএএ/