রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের অনিয়ম এবং দুর্নীতির অনুসন্ধান শিগগিরই শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব দিলোয়ার বখত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা বলেন।
দুদক সচিব বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে দুদক শিগগিরই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বর্তমানে এ সংক্রান্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে।’
অন্যদিকে চলমান মাস্ক দুর্নীতির বিষয়ে দিলোয়ার বখত বলেন, ‘অনুসন্ধানের স্বার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কারও নাম জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এলে তাদেরও তলব করা হবে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিম কাজ করছে।’
Advertisement
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং প্রতারণার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল উত্তরায় অবস্থিত হাসপাতালের একটি শাখায় অভিযান চালায়। সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দেয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পায় র্যাব।
পরদিন অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালের উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয় র্যাব। একই দিন রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর এবং উত্তরা দুটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরই মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মো. সাহেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও (হিসাব) ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এফএইচ/এফআর/এমকেএইচ
Advertisement