করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিলো অস্ট্রেলিয়ায়। যার জেরে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নকে ৬ সপ্তাহের জন্য লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন বিধি-নিষেধ।
Advertisement
করোনার এই ঢেউয়ের অর্থ হল, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন আর কোনওভাবেই হয়তো সম্ভব নয়। কারণ, এই মেলবোর্নেই বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা; কিন্তু নতুন করে লকডাউন ঘোষণা এবং সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সেখানে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করা স্বপ্নেও কল্পনা সম্ভব নয়।
অক্টোবর-নভেম্বরেই বিশ্বকাপ আয়োজনের সূচি তৈরি করা রয়েছে। আইসিসি ‘পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি’ বলে বলে এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে, এরই মধ্যে যখন অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলছে, তখন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল কিংবা স্থগিতের ঘোষণা দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় খোলা থাকবে না আইসিসির সামন। চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে এই ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড (সিএ) এ বছর যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়, তা অনেক আগেই আকারে-ইঙ্গিতে জানিয়ে দিচ্ছিল। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড আগেই জানিয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঝামেলা অস্ট্রেলিয়া সরকার নিতে চায় না।
Advertisement
এরপরও আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ বাতিলের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে আইসিসি অনেক বিলম্ব করে ফেলছে। আইসিসি চেয়েছিল, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে শেষ চেষ্টাটা করে দেখবে। কারণ, এর পেছনে অনেক বড় আর্থিক বিষয়াদি জড়িত।
তবে, আইসিসির বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করার কারণে, এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তাদের ধারণা, ভারতীয় বোর্ড বিশ্বকাপের জায়গায় আইপিএল আয়োজনের যে পরিকল্পনা করছে, তা বানচাল করতেই বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্তটা ঝুলিয়ে রেখেছে আইসিসি।
তবে এবার আর কোনো সন্দেহ থাকলো না যে, বিশ্বকাপ আয়োজন করতে না পারা নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাকে পুরোপুরিই অনিশ্চিত করে দিলো।
ভারতীয় মিডিয়া জানাচ্ছে, আজ (বৃহস্পতিবার) কিংবা কালই (শুক্রবার) বিশ্বকাপ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিতে পারে আইসিসি। এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণার অর্থ আইপিএল আয়োজনে আর কোনো বাধা না থাকা। ভারতের মাটিতে সম্ভব না হলেও, বিসিসিআই বিদেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজন করবে। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের নাম সামনে রয়েছে।
Advertisement
আইএইচএস/