অর্থনীতি

রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা না করেই সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (হিসাব) ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো অ্যাকাউন্ট থাকলে তাও ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বিএফআইইউ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।

চিঠিতে সাহেদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে সব হিসাব আগামী ৩০ দিন অবরুদ্ধ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (৬ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

Advertisement

এরপর মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। আটজনকে আটক করা হয়েছে। সাহেদসহ ৯ জন পলাতক।

ওইদিন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) বাতিলসহ অবিলম্বে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বাতিল এবং সিলগালা করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

রিজেন্ট হাসপাতালে র‍্যাবের অভিযান, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ- হাসপাতালটি করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করত। সরকারের সঙ্গে হাসপাতালটির চুক্তি ছিল ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে। সরকার এই ব্যয় বহন করবে। কিন্তু তারা রোগীপ্রতি লাখ টাকার বেশি বিল আদায় করেছে। রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিয়েছে এই মর্মে সরকারের কাছে এক কোটি ৯৬ লাখ টাকার বেশি বিল জমা দেয়। রিজেন্ট হাসপাতাল এ পর্যন্ত ২০০’র মতো কোভিড রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে।

Advertisement

এসআই/এফআর/এমকেএইচ