করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে পিসিআর পরীক্ষাগার স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তার মধ্যে ৭টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন পাওয়ার পরও করোনা পরীক্ষা করছে না।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারি পর্যায়ে পরীক্ষাগার ৩৪টি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১১টি, ২১ বেসরকারি হাসপাতালকে ও ১৭টি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অনুমোদন দিয়েছি। ২১টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ১৯টি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দুটি এখনও তাদের পরীক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে না। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তারা অনুমোদন পাওয়ার পরও কেন কার্যক্রম শুরু করছে না? কেয়ার মেডিকেল কলেজ উত্তর দিয়েছে যে, মেশিন আসতে দেরি হওয়ার কারণে তারা শুরু করতে পারছে না। দ্রুতই তারা শুরু করবে। তবে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এখনও উত্তর পাইনি।’
নাসিমা সুলাতানা আরও বলেন, ‘১৭টি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কার্যক্রম চালাচ্ছে ১২টি। যেগুলো অনুমোদন পাওয়ার পরও এখনও কার্যক্রম শুরু করেনি সেগুলো হলো- থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড, আলোক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, স্টেমস হেলথ কেয়ার বিডি লিমিটেড (এটা শুধুমাত্র কাতার ভিসা আবেদনকারীদের তারা পরীক্ষা করবে। তবে তারা এখনও কাতার থেকে অনুমোদন পায়নি বলে কার্যক্রম শুরু করেনি)। অথেনটিক ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন লিমিটেড ও এপিক হেলথ কেয়ার লিমিটেড– তারা সম্প্রতি আমাদের কাছে অনুমতি চেয়েছে, সবকিছু বিবেচনা করে দিয়েছি। তবে এখনও কার্যক্রম শুরু করেনি।’
Advertisement
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগের জন্য পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তবে যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাসায় গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন, সেই ক্ষেত্রে তারা ১ হাজার টাকা ফি নিতে পারবেন। বাসা থেকে নমুনা এনে পরীক্ষা করলে মোট ৪ হাজার ৫০০ টাকা ফি নেবে বলেও জানান নাসিমা সুলতানা।
পিডি/এমএসএইচ/এমকেএইচ