এই সময়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কেবলমাত্র একটি বাটনের ক্লিকে হাজার মাইল দূরে বসবাসকারী মানুষের সাথে আমাদের যোগাযোগ স্থাপন সহজ করে তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বৃদ্ধি প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন উপায়ে উপকারী প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু সত্যিটাও অস্বীকার করা যায় না যে, এটি এক ধরণের আসক্তি।
Advertisement
অনবরত স্ক্রলিং, সোয়াইপিং এবং সারাদিন ব্রাউজ করা আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিভিন্ন শহর এবং মহাদেশে বসবাসকারী বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সংযোগ আমাদের আনন্দ এনে দেয় তবে ভালো জিনিসগুলোর অতিরিক্ত হলে তার খারাপ দিকও রয়েছে। এমন অনেক ছোট ছোট অভ্যাস রয়েছে যা দেখতে সাধারণ মনে হলেও বাস্তবে তা আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি নির্দেশ করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমনই পাঁচটি লক্ষণ-
ফোন হাতে শুরু, ফোন হাতে শেষ বিছানায় যাওয়ার আগে শেষবারের মতো একবার ফোনটি চেক করা আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে দিনে ঠিক কতটা সময় ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে স্ক্রল করতে ব্যয় করেছেন কি কখনো তা গণনা করেছেন? অনেকেই অযথা ফোন স্ক্রলিং করতে করতে পরে ঘুমিয়ে পড়েন এবং বিছানা থেকে নামার আগে সকালে আবার একই কাজ করেন। আপনিও যদি এমনটা করে থাকেন, তবে বিশ্বাস করুন বা না করুন, আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত।
অযথা সময় কাটাতে এটি ব্যবহার করেনকাজের মাঝে মিনিট দশেকের বিরতি আপনার উৎপাদনশীলতা এবং সৃজনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। কিন্তু বিরতির সময়টা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করেন তখন সমস্যাটি দেখা দেয়। ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের নোটিফিকেশন দ্রুত যাচাই করার জন্য আপনার এই তাগিদ থাকতে পারে। তবে এই ছোট বিরতিটি সহজেই ৩০ মিনিট বা তার বেশি সময়ে গড়াতে পারে। আপনি সেখানে এতগুলো জিনিস পেয়ে যাবেন যে সময়ের ট্র্যাক হারাবেন, যা আপনার কাজকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। সুতরাং বিরতির সময়টুকু ফেসবুক অ্যাকাউন্টে না কাটিয়ে হাঁটাহাঁটি বা অন্য কিছু করা ভালো।
Advertisement
নোটিফিকেশন এলেই ফোন চেক করেনফোনের নোটিফিকেশন মস্তিষ্কের উপর একটি ডোপামাইন প্রভাব ফেলে, যা খুশির রাসায়নিক। এর ফলে নিজেকে পুরষ্কারপ্রাপ্ত বলে অনুভূত হয়। গবেষণা অনুসারে, ডোপামাইন বেশিরভাগ আসক্তির মধ্যে একটি প্রাথমিক উপাদান। আপনি একবার এতে পড়ে গেলে, চক্রটি অবিরত থাকে। অবিচ্ছিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন চেক করা আপনার আসক্তিকে বাড়িয়ে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া আপনার সংবাদের প্রধান উৎসসোশ্যাল মিডিয়া এমন কোনো স্থান নয় যেখানে সব সময় সঠিক খবর মিলবে। এটি নানা ধরণের সংবাদ বহন করে, যার সবগুলো কখনোই নির্ভরযোগ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রেই সেসবের সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়ে। সুতরাং, পড়তে হলে কোনো নির্ভরযোগ্য সাইটে প্রকাশিত খবর পড়ুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে না পারলে অস্থির বোধ করেননিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে না পারলে কখনো কি আপনার পেটে ব্যথা অনুভূত হয়েছে বা হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে? প্রতি ৩০ মিনিট পরে আপনার নিউজফিডে স্ক্রল করার এই আকুলতাটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি আরও বেড়েছে।
এইচএন/এএ/পিআর
Advertisement