দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহান। টিভি নাটকে তার উপস্থিতি মানেই দর্শকের বাড়তি আগ্রহ। একটা সময় তার নাম শুনেই দর্শক নাটক দেখতেন। আজকাল আর আগের মতো নিয়মিত নন। তবে গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে কাজ করেন। বিশেষ দিবসগুলো উপলক্ষেও তারিনকে দেখা যায় নাটক-টেলিছবিতে।
Advertisement
তেমনি আসছে কোরবানি ঈদে তারিন হাজির হবেন একটি নাটকে। এর নাম ‘মেঘলা মনের মেয়ে’। চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় এ নাটকটিতে তারিনকে দেখা যাবে তরুণ অভিনেতা ও জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদীরের বিপরীতে।
গতকাল ৭ জুলাই থেকে মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাড়িতে নাটকটির শুটিং শুরু হয়। আজ শেষ হবে। নির্মাতা চয়নিকা জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক নিয়ম মেনে কাজ করতে হচ্ছে। কষ্ট হলেও নিরাপদে কাজ করতে পারছি এটাই বড় কথা। ভেবেছিলাম উত্তরায় শুটিং করবো। কিন্তু ভয়ে সেদিকে যাইনি। মিরপুরে আমার এক বান্ধবীর বাসাতে কাজ করছি। নিরাপদ এবং দারুণ লোকেশন। আজ শুটিং শেষ করবো।’
এ নাটক দিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পর তারিনের সঙ্গে কাজ করলেন চয়নিকা। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভিনেতা অপূর্বকে নিয়ে আমি সর্বোচ্চ কাজ করেছি। সেগুলো হলো ১৬১টি একক নাটক ও টেলিছবি এবং ৪টি ধারাবাহিক। তারপর এই তারিনের সঙ্গেই বেশি কাজ করা হয়েছে। আমার ৪টি ধারাবাহিক, ৭১টি একক নাটক ও টেলিছবিতে তাকে পেয়েছি। মাঝে অনেকটা সময় গ্যাপ দিয়ে প্রায় ছয় বছর পর আবার তারিনের সঙ্গে কাজ করলাম।
Advertisement
ছয় বছর পরে হলেও সেই পুরনো তারিনকেই খুঁজে পেলাম। স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভাবা, আলোচনা করা, রিহার্সাল করা, যত্ন নিয়ে কাজ করা যে তারিনের গুণ। এমন গুণী একজন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে অসংখ্য অসংখ্য কাজ করার বিষয়টি আমাকে আনন্দ দেয়।’
নাটকে তারিন ও সালমান মুক্তাদীরের চরিত্র ও সম্পর্ক কি, এ নিয়ে চয়নিকা বলেন, ‘নাটকটিতে দেখা যাবে চেনাজানা সম্পর্কগুলোর বাইরে গিয়ে একটি অন্য সম্পর্কের গল্প। এখানে অসম প্রেমের জুটি হিসেবে অভিনয় করেছেন তারিন ও সালমান। নিজের চেয়ে বয়সে বড় তারিনের প্রেমে পড়বেন সালমান। দুজনেই দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। আশা করছি নতুন জুটির এ নাটক উপভোগ করবেন দর্শক।’
চয়নিকা জানান ‘মেঘলা মনের মেয়ে’ তার ৪০১তম নাটক। এটি রচনা করেছেন ফারিয়া হোসেন। এখানে তারিন ও সালমান ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সামিয়া অথৈ, মিলি বাশার প্রমুখ।
আসছে কোরবানি ঈদে যে কোনো একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে বলে প্রযোজক তুহিন বড়ুয়ার বরাতে নিশ্চিত করলেন চয়নিকা চৌধুরী।
Advertisement
এলএ/এমকেএইচ