সিলেটে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দুই ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাদের ( দু্ই ছেলের) বাবা মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ মঈন উদ্দিন।তিনি বলেছেন, তার দুই ছেলেকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সোমবার বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আবদুল মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবদুল মোহাইমিন নোমানের বাবা হাফিজ মইন উদ্দিন এমন অভিযোগ করেন। কানাইঘাট থানা ওলামা লীগের সহ-সভাপতি, ফালজুর পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা হাফিজ মঈন উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৮ আগস্ট ভোররাতে সিআইডি পুলিশ তার বড় ছেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র আবদুল মান্নান ও এমসি কলেজের ছাত্র আবদুল মোহাইমিন নোমানকে গ্রেফতার করে।পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়। অথচ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। থাকতেও পারেনা। দুই ছেলে ছাত্র মজলিসের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং তারা অত্যন্ত মেধাবি ও চরিত্রবান।মুক্তিযুদ্ধে নিজের অবদানের কথা উল্লেখ করে হাফিজ মইন উদ্দিন দাবি করেন, তার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আসছে। ছেলেরা ছাত্র মজলিস করলেও মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অথচ তার দুই ছেলেকে আটক করে নির্যাতনের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি পুলিশ। ছেলেরা জানিয়েছে, হত্যার হুমকি ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। এমনকি মইন উদ্দিন ঢাকায় সিআইডি অফিসে যোগাযোগ করলে তারাও জানিয়েছে সন্দেহজনকভাবে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সিআইডি উল্টো কাজ করে যাচ্ছে। মঈন উদ্দিন জানান, তার ছেলেরা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত হতো তাহলে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তাদের পক্ষে প্রতিবাদ করত না। তিনি বলেন, অনন্ত বিজয় হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি ঢাকার টিএসসিতে খুন হওয়া অভিজিৎ হত্যা মামলায়ও তাকে জড়ানো হয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে তার ছেলেদের মুক্তির দাবি এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য শফিক আহমদ, মুফতি গিয়াস উদ্দিন, তানভির আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস
Advertisement