প্রবাস

স্লোভেনিয়ায় দ্বিতীয় ধাপে জটিল হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি

দ্বিতীয় ধাপে স্লোভেনিয়ায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। গত চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে মধ্য ইউরোপের এ দেশটিতে নতুন করে ১৬ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭১৬ জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১১১ জন ও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১৩৮৪ জন।

Advertisement

ওয়েস্ট স্লোভেনিয়াতে অবস্থিত ভিপাভার ছোট একটি ওল্ড নার্সিং কেয়ারে ১০ জন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন এবং আরও ৩৫ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ওল্ড নার্সিং কেয়ারের কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে সমগ্র ওল্ড নার্সিং কেয়ারের ভবনটি আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও ভিপাভাতে এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সব মিলিয়ে ১৭ জন। স্লোভেনিয়ার মধ্যে মারিবোরের পরপর ভিপাভাকে করোনার দ্বিতীয় হটস্পট মনে করা হচ্ছে।

মূলত বলকান রাষ্ট্র সার্বিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, মেসিডোনিয়া এ সকল দেশ থেকে মানুষের অধিক যাতায়াতের ফলে স্লোভেনিয়াতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম। কেননা গোটা ইউরোপের মধ্যে রাশিয়ার পর পর সংক্রমণের ঝুঁকির বিবেচনায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে রয়েছে বলকান এ দেশগুলো।

Advertisement

এছাড়াও গত ০৪ জুলাই স্লোভেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মারিবোরের এক ফ্যাক্টরিতে ১৫ জন শ্রমিকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায় যাদের সকলে ছিলেন সার্বিয়া ও বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনার অধিবাসী।

এছাড়াও স্লোভেনিয়া সরকার দেশটির অভ্যন্তরে ভ্রমণের বিষয়ে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে। প্রথমত সমগ্র পৃথিবীর সকল দেশকে তিনটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা- রেড জোন, ইয়োলো জোন এবং গ্রিন জোন। মূলত করোনা সংক্রমণের প্রতিচ্ছবি বিবেচনায় এনে এ ধরনের জোনিং করা হয়েছে। রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সে সকল দেশকে যারা এ মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।

রেড জোনভুক্ত অঞ্চলগুলো থেকে এখন কেউ স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাধ্যমতমূলকভাবে ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে এখানে প্রবেশের সাথে সাথে। ইয়োলো জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে সকল দেশকে যে সকল দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল তুলনামূলকভাবে। স্লোভেনিয়ার পাসপোর্ট কিংবা পার্মানেন্ট রেসিডেন্স অথবা টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটধারী কেউ এখন থেকে বিনা শর্তে স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে অবশ্যই স্লোভেনিয়াতে প্রবেশের সময় এখানে তার বসবাস কিংবা পেশা অথবা যদি শিক্ষার্থী হন তাহলে তাকে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রমাণ দিতে হবে।

এছাড়াও তাকে কোভিড-১৯ এর টেস্ট সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে হবে। না হলে বাধ্যতামূলকভাবে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্স, পর্তুগাল, চেক রিপাবলিক ও ক্রোয়েশিয়া ইয়োলো জোনভুক্ত। আর গ্রিন জোনের আওতাধীন হচ্ছে সে সকল দেশ যে সকল দেশে এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। গ্রিন জোনের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো থেকে কেউ স্লোভেনিয়াতে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে কোনও ধরনের শর্তের অধীনে আনা হবে না।

Advertisement

এমআরএম