আন্তর্জাতিক

দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণে বিধ্বস্ত দক্ষিণ কোরিয়া

করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণের হার না কমলে আবার কড়া লকডাউনের দিকে যেতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। আগামী তিন দিনের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গড়ে ত্রিশের কম না থাকলে লকডাউন শুরু হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিউলের মেয়র পার্ক উওন-সুন।

Advertisement

দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ ক্রমেই চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন মেয়র পার্ক উওন-সুন। আজ সোমবার টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যদি সিউল আবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তার মানে হচ্ছে গোটা কোরিয়ার আক্রান্ত হওয়া।’

নতুন সংক্রমণের কারণ হিসেবে মেয়র জনগণের উদাসীনতার কথা বলেছেন। প্রথম দফায় ঠিক যে সময়ে করোনা সংক্রমণ চরমে পৌঁছেছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়, সেই সময়ের মতোই রাস্তাঘাটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ভিড়। সেভাবে মানাও হচ্ছে না শারীরিক দূরত্বও। এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছেই।

বর্তমান সংক্রমণের হারকে একটি গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে রেখে সিউলের মেয়র পার্ক উওন-সুন বলেন যে, মহামারি করোনভাইরাসের সংক্রমণ এই হারে চললে আগামী এক মাসের মধ্যে দৈনিক ৮০০টি নতুন সংক্রমণ দেখতে হবে কোরিয়াতে।

Advertisement

এদিকে আরেকটি বিবৃতিতে কোরিয়ার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক জিওং ইউন-কিওং বলেন, আসলেই দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর দায়েগুর আশেপাশের অঞ্চলগুলিতে সংক্রমণের হার বেশি।

মে মাসের শেষ থেকেই নতুন করে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০টি করে সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এই সংক্রমণের বেশির ভাগই ছিল সিউল ও তার আশেপাশে। মার্চের শেষের দিক থেকে শারীরিক দূরত্ব, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং এবং গণহারে পরীক্ষা চালানোর কড়াকড়ি বাড়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু বর্তমানে বাড়ন্ত সংক্রমণের ঘটনায় নতুন করে বিপদের ঝুঁকিতে রয়েছে সিউল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের মোট সংখ্যাটা ১৩ হাজার ১৩৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৮৪ জন মারা গেছে। তবে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৮৪৮ জন।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

Advertisement

এসএ