যশোর জেলায় ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে এ বছর নতুন ৮৯ হাজার ১৩৯ জন ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। আর বিদ্যমান ভোটার থেকে মৃত ভোটার কর্তন করা হয়েছে ১৯ হাজার ১৪২ জনকে। যশোরে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী এবার তালিকায় নিবন্ধনের হার ৪ দশমিক ৫৯ ভাগ। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। এখন সংযোজন ও কর্তন শেষে মোট ভোটার বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ১২ হাজার ২৭১জন। যশোর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ৮ উপজেলায় ভোটার নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ হাজার ৫৫৫ জন। যা বিদ্যমান তালিকার আড়াই শতাংশ। কিন্তু এ বছর নতুন ৮৯ হাজার ১৩৯ জন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এ হার ৪ দশমিক ৫৯ ভাগ। যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। নতুন অন্তর্ভুক্ত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৪৩ হাজার ৮৮১ ও নারী ৪৫ হাজার ২৫৮ জন। যশোর জেলায় বিদ্যমান ভোটার ছিল ১৯ লাখ ৪২ হাজার ১৭৪ জন। মৃত ভোটার কর্তনের পর যশোর জেলায় মোট ভোট হয়েছে ২০ লাখ ১২ হাজার ২৭১ জন। জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে যশোর জেলার আট উপজেলার মধ্যে শতকরা হিসেবে সব থেকে বেশি নিবন্ধিত হয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলায়। এ উপজেলায় শতকরা ৫ দশমিক ৫২ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ৮ হাজার ৩৭৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩৩৯ ও নারী ৪ হাজার ৩৫ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২ হাজার ৯৫ জন। এ উপজেলায় হালনাড়াদের পূর্বে ভোটার ছিল ১লাখ ৫১ হাজার ৭৭৮ জন। সদর উপজেলায় বিদ্যমান ভোটারের শতকরা ৪ দশমিক ৩৪ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ২২ হাজার ২৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৯৮৬ ও নারী ১১হাজার ২৬২ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ৪ হাজার ৬৯২ জন। এ উপজেলায় হালনাগাদের পূর্বে ভোটার ছিল ৫ লাখ ১২ হাজার ৮৬৭ জন।মণিরামপুর উপজেলায় বিদ্যমান ভোটারের শতকরা ৪ দশমিক শুন্য ১ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ১১ হাজার ৯৫৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৯৫৬ ও নারী ৬ হাজার ২ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ জন। এ উপজেলায় হালনাগাদের পূর্বে ভোটার ছিল ২লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৬ জন।শার্শা উপজেলায় শতকরা ৫ দশমিক ২ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ১২ হাজার ৬শ’ ১৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮শ’ ৮৬ ও মহিলা ৬হাজার ৭শ’ ৩১ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২ হাজার ৭শ’ ৩২ জন। এ উপজেলায় হালনাড়াদের পূর্বে ভোটার ছিল ২লাখ ৪২ হাজার ৬শ’ ৭৯ জন।অভয়নগর উপজেলায় বিদ্যমান ভোটারের শতকরা ৪ দশমিক ৭৮ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ৮ হাজার ৫৪৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ১৪৭ ও নারী ৪ হাজার ৩৯৬ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ১ হাজার ৪৪৬ জন। এ উপজেলায় হালনাড়াদের পূর্বে ভোটার ছিল ১লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৯ জন।চৌগাছা উপজেলায় বিদ্যমান ভোটারের শতকরা ৪ দশমিক ৬৯ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ৭ হাজার ৬৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৭০২ ও নারী ৩ হাজার ৯৫৮ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২ হাজার ১৩৮ জন। এ উপজেলায় হালনাগাদের পূর্বে ভোটার ছিল ১লাখ ৬৩ হাজার ২৭৪ জন।কেশবপুর উপজেলায় বিদ্যমান ভোটারের শতকরা ৪ দশমিক ৬২ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ৮ হাজার ৩৬৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২৬৩ ও নারী ৪ হাজার ১শ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ জন। এ উপজেলায় হালনাগাদের পূর্বে ভোটার ছিল ১লাখ ৮১ হাজার ১৮৩ জন।ঝিকরগাছা উপজেলায় বিদ্যমান ভোটারের শতকরা ৪ দশমিক ৪ ভাগ নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। নিবন্ধিত নতুন ভোটার ৯ হাজার ৩৯৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৬০২ ও নারী ৪ হাজার ৭৭৪জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ১ হাজার ৬৭২ জন। এ উপজেলায় হালনাগাদের পূর্বে ভোটার ছিল ১লাখ ৫১ হাজার ৭৭৮ জন।যশোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ জানান, নতুন নিবন্ধিত সকল ভোটারকেই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি কার্ড) দেয়া হবে। ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৫ এ নতুন অন্তর্ভুক্ত ও কর্তন শেষে যশোরে মোট ভোটার বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ১২ হাজার ২৭১জন। নতুন নিবন্ধনে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার ১ হাজার ৩৭৭ জন বেশি। তিনি আরো জানান, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রথম পর্যায়ের হালনাগাদ কার্যক্রমের আওতায় যারা নিবন্ধিত হয়েছেন শুধুমাত্র তাদেরই খসড়া ভোটার তালিকা আগামী বছরের ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে।তিনি জানান, সারা দেশের সঙ্গে যশোরের তিন উপজেলা মণিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলায় একযোগে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় ১১ আগস্ট এবং শেষ হয় ১ সেপ্টেম্বর। শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছায় এ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় ৩ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হয় ২১ সেপ্টেম্বর। যশোর সদর ও বাঘারপাড়ায় নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ২০ অক্টোবর এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। দেশের সকল জেলায়ই বিদ্যমান ভোটারের শতকরা প্রায় ৪ থেকে সাড়ে চার ভাগ নিবন্ধিত হয়েছে। যশোরের ক্ষেত্রে এ অর্জন তাই সন্তোষজনক। তিনি আরও জানান, ২০১৪ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যশোরে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম নিবন্ধিত হয়েছিল। সঙ্গত কারণেই এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি এবারের এ নিবন্ধন সংখ্যা স্বাভাবিক বলে মনে করেন।মিলন রহমান/এমজেড/পিআর
Advertisement