করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ইতোমধ্যেই সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে, মারা গেছেন প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ। অথচ মহামারিতে বিপর্যস্ত এ দেশে ৫০ দিন ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। মাত্র একমাসের ব্যবধানে দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের পর থেকেই সেখানে খালি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি।
Advertisement
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত এপ্রিলে ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ যখন মাত্র শুরু হয়েছিল, সেসময় প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেনরিক ম্যানডেটা। এরপর নেলসন টেককে ওই পদে নিয়োগ দেন বোলসোনারো। কিন্তু ৩০ দিন যেতে না যেতেই তার সঙ্গেও মতপার্থক্য দেখা দেয় প্রেসিডেন্টের। ফলাফল, কোনও কারণ না জানিয়েই হুট করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।
বর্তমানে অস্থায়ীভাবে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আর্মি জেনারেল এদুয়ার্দো পাজুয়েলো, যার কোনও ধরনের মেডিকেল অভিজ্ঞতা নেই।
জানা গেছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী টেক ‘অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু এবং ক্লোরোকুইন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে খুবই ভীতু’ ছিলেন দাবি করে তার কাজের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো।
Advertisement
এছাড়া, আগের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যানডেটা সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনের পক্ষে থাকা এবং করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় তার ওপরও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বোলসোনারো।
এ নিয়ে ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট অনেকবারই বলেছেন, মানুষ তাকে নির্বাচিত করেছে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এবং লকডাউন থাকবে কি না এ নিয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সূত্র: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড
কেএএ/পিআর
Advertisement