আন্তর্জাতিক

করোনায় বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্রে ফুরিয়ে আসছে হাসপাতালের ধারণক্ষমতা

গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস মহামারি। শুরুর দিকে দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে তাণ্ডব চালালেও এখন তা সরে এসেছে দক্ষিণপূর্ব ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে। করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩৭টি অঙ্গরাজ্য। অনেক এলাকাতেই হুমকির মুখে পড়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা।

Advertisement

গত শনিবার রেকর্ড সংখ্যক করোনা সংক্রমণের তথ্য জানিয়েছে টেক্সাস কর্তৃপক্ষ। এদিন সেখানে নতুন করে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন অন্তত ৮ হাজার ২৫৮ জন। ইতোমধ্যেই অঙ্গরাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে, মারা গেছেন আড়াই হাজারেরও বেশি।

টেক্সাসে করোনায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম হিউস্টন। যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনবহুল শহরটিতে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেখানকার হাসপাতালগুলোর ধারণক্ষমতা পূরণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মেয়র সিলভেস্টার টার্নার।

স্থানীয় টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘এখানে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং হাসপাতালে ভর্তি লোকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইসিইউ বেডে থাকা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সত্যি বলতে, আমরা যদি দ্রুত এই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের হাসপাতাল ব্যবস্থা মারাত্মক সমস্যায় পড়বে।’

Advertisement

মেয়র টার্নারের মতে, হাসপাতালের বেড কোনও সমস্যা নয়, মূল সংকট সেবাকর্মীদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনও সময় বাড়তি বেড সরবরাহ করতে পারি। কিন্তু, আমাদের দরকার মানুষের, নার্সদের, মেডিকেলকর্মীদের। এটাই এখন মুখ্য বিষয়।’

এদিকে, করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত মাসেই লকডাউন তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট। অঙ্গরাজ্যের সব বার বন্ধ এবং রেস্টুরেন্টগুলো সীমিত ধারণক্ষমতার শর্তে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া, জনসম্মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং একসঙ্গে ১০ জনের বেশি জড় হওয়াতে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে টেক্সাস প্রশাসন।

সূত্র: সিএনবিসি

Advertisement

কেএএ/পিআর