ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় কর্ণফুলী-১৩ নামে একটি লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেয় কবিতা (১৩) নামে এক কিশোরী। পরে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে সুস্থ হলে রোববার রাতেই তাকে তজুমদ্দিন থানায় পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
ওই কিশোরী ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেলের তেলুয়া চর এলাকার মো. কবির হোসেনের মেয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যায় চরফ্যাশনের বেতুয়া-ঢাকা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ কর্ণফুলী-১৩ থেকে ওই কিশোরী ঝাঁপ দেয়।
তজুমদ্দিন থানার ওসি এসএম জিয়াউল হক রাতে জানান, আমরা ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমাদের জানিয়েছে সে একাই ঢাকার উদ্দেশ্যে তজুমদ্দিনের চৌমহনী ঘাট থেকে কর্ণফুলী-১৩ ওঠে। একটি কেবিনের পাশে বসে থাকার সময় লঞ্চের কোনো এক স্টাফ তাকে বলেছে ২০০ টাকার বিনিময়ে তার সঙ্গে রাতে কেবিনে থাকার জন্য। কিশোরী স্টাফের কথা শুনে রেগে তাকে গালমন্দ করে চলে যায়। এরপর লঞ্চের ডেকে থাকায় এক নারী যাত্রীর বিছানায় গিয়ে বসলে ওই নারী তাকে বিছানা থেকে উঠিয়ে দেন। এতে তার রাগ আরও বেড়ে গিয়ে অভিমানে লঞ্চ থেকে সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। ওই সময় স্থানীয় জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
Advertisement
ওসি আরো জানান, ওই কিশোরী এর আগেও একবার ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। এছাড়াও গত ২/৩ মাস আগে সে তার নানীর সঙ্গে চর মোজাম্মেলে থাকা অবস্থায় তজুমদ্দিনে এসে নানীকে ফাঁকি দিয়ে এক রিকশাচালকের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। পরে আমাদের কাছে ওর নানী আসলে আমি নিজে তাকে উদ্ধার করি।
ওই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা আগামীকাল তজুমদ্দিনের আসবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। তবে এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এফএ/পিআর
Advertisement