তুরস্কে সময় নিয়ে চরম বিভ্রান্তি চলছে এখন। নানা বিরোধে ও সংঘাতে জর্জরিত তুরস্কের বাসিন্দারা এখন একটা ব্যাপারেই ঐক্যবদ্ধ, আর তা হলো তাদের সবারই একটাই প্রশ্ন, এখন ঠিক কটা বাজে?এই বিভ্রান্তির মূলে আছে তুরস্ক সরকারের একটি সিদ্ধান্ত যাতে তারা গ্রীষ্মকালীন বা ডে-লাইট সেভিং টাইমকে আরো কিছুদিনের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে। বাকি ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কেও অক্টোবরের শেষ রোাবার মধ্যরাতের কিছু পরেই ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা পিছিয়ে দেওয়া বা ‘ফল ব্যাক’ করার কথা ছিল।কিন্তু তুরস্ক সরকার শেষ মুহূর্তে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেখানে বলা হয়, এই প্রক্রিয়াটা করা হবে আসন্ন নির্বাচনের পর যাতে ভোটাররা দিনের আলোর সুবিধাটা ১ নভেম্বর ভোটের দিনে বেশি সময়ের জন্য নিতে পারেন। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরের রোববার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাতের পর সময় পেছানোর প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।কিন্তু সারা দেশে বহু ঘড়িতেই এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর করা যায়নি। তারা রীতিমাফিক ঘড়ির কাঁটা এক ঘন্টা পিছিয়ে দিয়েছে পূর্বনির্ধারিত সময়েই। আর সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তুরস্কে সরকারিভাবে এখনও ডে লাইট সেভিং টাইম চালু থাকলেও বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া বা ইউক্রেনের মতো দেশগুলো ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান টাইম (ইইটি) অনুসরণ করে। কিন্তু এদেশগুলো ঘড়ির কাঁটা যথাসময়েই পিছিয়ে দিয়েছে।ফলে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঠাট্টা করে অনেকে লিখছেন, তুরস্ক এখন ইইটিতে নয়, বরং ইইএসটিতে চলছে। ঠাট্টার ছলে তারা বলছেন, ইইএসটি হলো এর্দোয়ান ইঞ্জিনিয়ার্ড স্ট্যান্ডার্ড টাইম।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়িপ এর্দোয়ানকে ব্যঙ্গ করে অনেকেই দেশের নতুন এই সময়কে ‘এর্দোয়ান টাইম’ বলেও ডাকছেন। আগামী দুই সপ্তাহের জন্য তুরস্কে সময় বিভ্রাট থাকবে।এসআইএস/পিআর
Advertisement