শুরুর দিকে করোনা প্রতিরোধে সাধারণ জনগণের জন্য কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যদের কিছুটা দ্বিধা ছিল। কিন্তু এখন সবাই একমত যে মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করলে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
Advertisement
অতীতের বিভিন্ন ফ্লু-মহামারিতে মানুষকে মাস্কের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে ফল পাওয়া গিয়েছিল। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনসাধারণের জন্য কিছু নিয়ম করে দিয়েছে।
১. কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।২. মাস্ক ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে তা পরিধান করার উপযোগী কিনা। ময়লা হয়ে থাকলে বা ছেঁড়া হয়ে থাকলে ব্যবহার না করে নতুন মাস্ক নিতে হবে।৩. মাস্ক এমনভাবে লাগাতে হবে যেন তা মুখ, নাক ও চোয়াল ঢেকে রাখে।৪. এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে ফিট হয় ও পাশে কোনো গ্যাপ না থাকে।৫. মাস্ক ফিতায় হাত দিয়ে লাগাতে হবে, সামনের অংশে যেন হাত না লাগে।৬. ব্যবহারের মাঝে ময়লা লাগলে বা নোংরা হয়ে গেলে কাপড়ের মাস্কটি বদলানো উচিত।৭. মাস্ক খোলার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। সাবান পানি পাওয়া না গেলে ৭০% অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। সাবান পানি দিয়ে ধোয়ার সময়কাল ৪০-৬০ সেকেন্ড এবং অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বেলায় তা ২০-৩০ সেকেন্ড বলে জানাচ্ছে বিস্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।৮. খোলার সময় পেছনের ফিতায় হাত দিয়ে এবং সামনের অংশে হাত না লাগিয়ে খুলতে হবে।৯. মাস্ক খোলার পর এর বহিরাংশ মুখ থেকে দূরে রাখুন, বাইরের অংশে ভাইরাস লেগে থাকতে পারে।১০. হাত দিয়ে মাস্ক খুলে আবার সাবান দিয়ে হাত ধুবেন।১১. কাপড়ের মাস্ক সাবান/ডিটারজেন্ট ও গরম পানি দিয়ে অন্তত দিনে একবার ধুতে হবে।১২. খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে মাস্কটি পরছেন সেটি যেন অন্যদের সাথে অদলবদল না হয়।১৩. মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।১৪. পাশাপাশি সাবান দিয়ে বারবার নিয়মমাফিক হাত ধোয়া ও মুখমণ্ডলে হাত দিয়ে স্পর্শ না করার বিষয়টিও ভুলে গেলে চলবে না।১৫. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কাপড়ের মাস্কটি তিনস্তর বিশিষ্ট হওয়া উচিত। বাইরের স্তর পানি প্রতিরোধী, মাঝের স্তর ফিল্টারের কাজ করবে, ভেতরের স্তর হতে হবে পানিশোষী।১৬. মেডিকেল মাস্ক বা সার্জিক্যাল মাস্ক, চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী, কোভিড রোগী ও তাদের পরিচর্যাকারীরা পরবেন। বাকিদের জন্য কাপড়ের মাস্কই যথেষ্ট।
মনে রাখতে হবে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব আর অক্সিজেন চিকিৎসা ছাড়া করোনার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অস্ত্র নেই। নিয়ম-কানুন মেনে বেঁচে থাকার বিকল্প নেই।
Advertisement
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, নেফ্রোলজি বিভাগ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।
এইচআর/বিএ/এমএস