কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে নদনদীর পানি। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ঘরে ফিরতে পারছে না বানভাসীরা।
Advertisement
দেড় সপ্তাহ যাবৎ বন্যার পানি অবস্থান করায় দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসাসহ জ্বালানি ও গো-খাদ্যের সংকট। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বন্যায় ৩টি পৌরসভাসহ ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়েছে ৬২ হাজার ৪শ মানুষ। নদীভাঙনে গৃহহীন হয়েছে ৫০০ শতাধিক পরিবার। ২৯.৫০ কিলোমিটার বাঁধ ও ৩৭ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও কৃষিতে আউশ, আমন বীজতলা, পাট, কাউন, তিল, শাকসবজিসহ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৮৯ হেক্টর ফসলি জমি।
ইতোমধ্যে জেলার দুর্গত মানুষদের সহায়তার জন্য ৯টি উপজেলায় ৩০২ মেট্রেক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বানভাসীদের মাঝে সেগুলো বিতরণ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
Advertisement
এফএ/পিআর