যুক্তরাজ্যের একটি বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. ফারজানা হুসেইনের ছবি। সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এনএইচএস) উদ্যোগে টানানো একটি বিলবোর্ডে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। এনএইচএস-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
এনএইসএস-এর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিজেদের ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে বিলবোর্ড বানিয়েছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যবিভাগ। কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ সেখানে অন্যদের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছেন ডা. ফারজানা।
ফারজানা হুসেইন জানান, তার বাবা ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে স্কলারশিপ নিয়ে ব্রিটেনে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করতে আসেন। বাবা একজন নিউরো সার্জন ছিলেন। হাসপাতাল এবং ওষুধের আশপাশেই তিনি বেড়ে উঠেন।
৫ বছর বয়সেই তিনি বাবার সাথে হাসপাতালে যান। বড়দিনে নার্সদের দেওয়া চকলেটগুলো উপভোগ করেন এবং হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে রোগী দেখেন।
Advertisement
তিনি জানান, তার বয়স যখন ১৯ তখন তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ওই সময় তিনি কার্ডিফের সাউথ ওয়েলসের কলেজ অব মেডিসিনে মেডিকেল প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ‘অসুস্থ মাকে ফেলে আড়াইশ মাইল দূরে ক্লাসে যেতে না চাইলে তার মা বলেন তোমাকে অবশ্যই যেতে হবে। আমি চাই তুমি একজন ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা কর’।
‘মায়ের কথা আমাকে শুধু ডাক্তার হয়েই রোগীদের সেবা করতে হবে’। পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যামে বসবাসকারী ফারজানা হুসেইন গত ১৮ বছর ধরে স্থানীয় পর্যায়ে এই খেতাব পেয়ে আসছিলেন।
ফারজানা হুসেইন গত ৩ বছরে নিউহ্যামের স্থানীয় চিকিৎসা কমিটিতে ছিলেন। সেইসঙ্গে নিউহ্যামের জেনারেল প্র্যাকটিস ফেডারেশনের বোর্ড ডিরেক্টরের দায়িত্বও পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের এনএপিসির কাউন্সিল সদস্য।
সম্প্রতি তিনি প্রাথমিক কেয়ার নেটওয়ার্কের জন্য একজন ক্লিনিক্যাল পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। যুক্তরাজ্যের সাটারস্টক.কম প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে দেশটির রাজধানী লন্ডনের বিখ্যাত পিকাডেলি সার্কাসের সামনে তাকে নিয়ে টানানো এক বিলবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ডা. ফারজানা হোসেইন।
Advertisement
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামনের কাতারে থেকে কাজ করেছেন তিনি। গত কয়েকমাস ধরে অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি টিকা দেওয়ার ক্লিনিকগুলোতে ঘুরে ঘুরে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন।
এমআরএম/টিটিএন/এমকেএইচ/জেআইএম