স্লোভেনিয়ায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন করে ২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত পনেরো মে ইউরোপের সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে করোনা মহামারির অবসানের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে শুরু করে গত এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় এটি নতুন রেকর্ড।
Advertisement
এখন পর্যন্ত মধ্য ইউরোপের এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৯ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ১১১ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১ হাজার ৩৮৪ জন। কয়েক দিন ধরে সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্লোভেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে দেশটিতে বসবাস করা সকল নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।
গত ১৫ মে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে স্লোভেনিয়া করোনা মহামারি পরিস্থিতির অবসানের ঘোষণা দেয়। কিন্ত গত কয়েক দিন থেকে দেশটিতে ফের নতুন করে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে বসবাস করা অনেক সাধারণ মানুষ মনে করছেন দ্বিতীয় ধাপে স্লোভেনিয়া আরও একবার করোনা মহামারির সম্মুখীন হতে চলেছে।
যদিও স্লোভেনিয়া যথারীতি অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও ইতালির সঙ্গে সীমান্ত সংযোগ চালু রেখেছে। ক্রোয়েশিয়ার সাথে সীমান্ত সংযোগ এখন অনেকটা বিধি-নিষেধের মধ্যে রাখা রয়েছে। সার্বিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, মেসিডোনিয়া বলকান এ সকল দেশ থেকে অনেকে জীবিকা কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য স্লোভেনিয়াতে যাতায়াত করে থাকেন।
Advertisement
বলকানের সকল দেশের সাথে স্লোভেনিয়ার সংযোগ ঘটেছে ক্রোয়েশিয়ার মধ্য দিয়ে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিবেচনায় ইউরোপের মধ্যে রাশিয়ার পর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বলকান দেশগুলো। সার্বিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, মেসিডোনিয়া এ সকল দেশে দ্বিতীয় ধাপে আবারও করোনার আঘাত আসতে শুরু করেছে।
বলকানের দেশগুলো থেকে মানুষের অবাধ যাতায়াতের ফলে স্লোভেনিয়া এবং একই সাথে স্লোভেনিয়ার প্রতিবেশি ক্রোয়েশিয়াতে ফের করোনা আক্রমণ শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশ দুটির বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলো।
এমআরএম/জেআইএম
Advertisement