মতামত

করোনা : পরিত্রাণে সতর্কতার বিকল্প নেই

ফারিহা হোসেন

Advertisement

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা এর আগে পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ প্রায়। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৪ হাজারের বেশি। তবে সাড়ে ৬১ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত এর কার্যকর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। পুরো মানবজাতি এক অর্থে অসহায় এ ভাইরাসের কাছে। নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন সংক্রমিত এ ভাইরাসের কারণে সে সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর, কাশি এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা প্রধান লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় এর উপসর্গ, পরে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ থেকে ১৪ দিন সময় নেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪ দিন পর্যন্তও হতে পারে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও সংক্রমিত মানুষ অন্যদের সংক্রমিত করে। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত উপসর্গহীন মানুষও অন্যের দেহে ভাইরাসটি সংক্রমিত করতে পারে। জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, এরপর শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পর শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। সমস্যা জটিল হলে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়। এই রোগে ৬ ভাগ কঠিনভাবে অসুস্থ হয়- এ ক্ষেত্রে ফুসফুস বিকল, সেপটিক শক, অঙ্গবৈকল্য এবং মৃত্যুর আশঙ্কা তৈরি হয়। ১৪ ভাগ এর মধ্যে তীব্রভাবে উপসর্গ দেখা দেয়। তাদের মূলত শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়। ৮০ ভাগের মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা যায়- জ্বর এবং কাশি ছাড়াও কারো কারো নিউমোনিয়ার উপসর্গও দেখা যেতে পারে করোনাভাইরাস সংক্রমণে। বয়স্ক ব্যক্তি এবং যাদের কোনো ধরনের অসুস্থতা যেমন- অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

গবেষণায় দেখা গেছে, এ রোগে নারীদের চেয়ে পুরুষদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। আক্রান্ত ব্যক্তি যেন শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা পায় এবং তার দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেন ভাইরাসের মোকাবিলায় সক্ষম হয়, তা নিশ্চিত করাই থাকে চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য। গ্রীষ্মের তুলনায় শীতের মাসগেলোতে সর্দি এবং ফ্লু বেশি দেখা যায়, তবে গরম আবহাওয়া ভাইরাসের বিস্তার পরিবর্তিত করে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

যুক্তরাজ্যের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারা বলেছেন, ভাইরাসটির ওপর ঋতুর কোনো প্রভাব আছে কিনা, তা পরিষ্কার নয়। যদি কোনো প্রভাব থেকেও থাকে, তবে তারা মনে করেন যে সর্দি এবং ফ্লুয়ের হার কমে আসবে। গ্রীষ্মকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যদি দ্রুত হারে নামতে থাকে, তাহলে শীতকালে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ারও আশঙ্কা থাকে।

বিশ্বজুড়ে এখন একটাই আতঙ্ক আর তার নাম এই করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন অর্থ- একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথক থাকা। কারো মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে, তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে এবং ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্তত ১৪ দিন আলাদা থাকতে বলা হয়। নিরাপদ স্থানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কোয়ারেন্টাইনের উদ্দেশ্য। এ ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের অবজারভেশনে রাখা না হলে, এ রোগ আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে।

কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন শব্দ দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারো মধ্যে যখন জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে অথবা ধরা না পড়লেও যদি উপসর্গ থাকে, তখন তাকে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হয়। এ প্রক্রিয়াকে আইসোলেশন বলে। জীবাণু যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এ জন্য রোগীকে যত রকম ব্যারিয়ার দেয়া সম্ভব, আইসোলেশনে তা দেয়া হয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, আইসোলেশন হচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য, আর কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে সুস্থ বা আপাত সুস্থ ব্যক্তিদের জন্য। আইসোলেশনে কতদিন রাখা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। পুরোপুরি সেরে না ওঠা পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়।

Advertisement

কোনো ব্যক্তি যখন বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনের সকল নিয়ম মেনে, বাইরের লোকজনের সাথে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন সেটিকে হোম কোয়ারেন্টাইন বলা হয়। কোনো ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরেন তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও কমপক্ষে ১৪ দিন তাকে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি তিনি মুখে মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, ঘরে আলাদা থাকবেন। তার ব্যবহার্য জিনিস অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। তার ঘরে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সতর্কতা ছাড়া কেউ প্রবেশ করবেন না।

কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির কাছে খাবার ও অন্যান্য সেবা যিনি পৌঁছে দেবেন তিনিও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির কাছ থেকে অন্যদের অন্তত এক মিটার দূরে থাকতে বলা হয়। মুখে মাস্ক পরা, অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির সময় রুমাল-টিস্যু ব্যবহার করা ও ব্যবহারের পর মাস্ক, টিস্যু ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি ও তাকে সেবা প্রদানকারীকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, এমন খাবার খেতে হবে এবং সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই ভাবনাটি ভুল। যারা করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরেছেন, করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন অথবা সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন, এমন ব্যক্তিকেই হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়ে থাকে।

কোয়ারেন্টাইনে থাকা মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। এমনকি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মা তার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। মায়ের বুকের দুধ পানে শিশু আক্রান্ত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হলো করোনায় আক্রান্ত মা তার শিশুকে বুকের দুধ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে মাস্ক ব্যবহার এবং ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তারপরে শিশুর কাছে যেতে হবে। কাশি, সর্দি, বমি ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে এবং নতুন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর মাস্ক ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে এবং সাবানপানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।

অপরিষ্কার হাতে কখনই চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না। অবশ্যই হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু পেপার বা বাহুর ভাঁজে মুখ ও নাক ঢেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে। হাঁচির পর হাত পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্য কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে না এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে। ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সংবাদকর্মী যারা সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাদের অবশ্যই পিপিই ব্যবহার করতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা রয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিদিন বাড়িঘর ভালো মতো পরিষ্কার করাও জরুরি। পাশাপাশি জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশের মতো কিছু স্বাস্থ্য উপকরণও ঘরে রাখা জরুরি। প্রতিবার খাবার রান্না বা তৈরি করার আগে ও পরে, খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, বাইরে থেকে বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে অথবা জীবাণুনাশক ব্যবহার করে হাত পরিষ্কার করতে হবে। রান্নাঘরসহ বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখতে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রেও ব্যবহার করা জরুরি। খাবার তৈরির আগে ও পরে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার করে রান্নাঘর এবং বাথরুমসহ বাসার অন্যান্য ঘর পরিষ্কার করতে হবে, যাতে কোনো রোগজীবাণু খাবারে যেতে না পারে। হাঁড়ি-পাতিল ধোয়া, টয়লেট পরিষ্কার বা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা মতো গৃহস্থালি কাজের জন্য রাবার গ্লাভস ব্যবহার করলে ভালো। বাড়ির প্রতিটি ঘরে টিস্যু রাখা উচিত, যাতে কাশি বা হাঁচির সময় হাত বাড়ালেই টিস্যু পাওয়া যায়। ভেজা টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং পকেট টিস্যু জীবাণুনাশক ভেজা টিস্যু এবং স্যানিটাইজার ঘরে বা বাইরেও ব্যবহার করা যায়। যখন সাবান বা পানি পাওয়া যাবে না, তখন এসব ব্যবহার করে জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে হবে।

দীর্ঘদিন পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে করোনাভাইরাসকে হয়তো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, কিন্তু এতে মানসিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। আত্মীয়-বন্ধু-পরিজনদের সঙ্গে দীর্ঘ অদর্শন, দিন চালানোর মতো রসদ সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ, আর তারচেয়েও সুস্থভাবে দিনগুলো কীভাবে কাটবে ভেবে প্রবল মানসিক উদ্বেগে ভুগতে শুরু করা মোটেই বিচিত্র নয়! গৃহবন্দি থাকতে থাকতে দেখা দিতে পারে ডিপ্রেশন। এই বিপুল মানসিক চাপ আর ডিপ্রেশন সহ্য করতে করতে ভেঙে পড়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কাজেই একদিকে যেমন করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, তেমনি লড়াই করতে হবে নিজের মনের সঙ্গেও। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আর সেই সঙ্গে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা, এ সময় কাটিয়ে উঠতে আমাদের সাহায্য করবে। মনোবল ভেঙে গেলে চলবে না।

এ সংকটকালে আমাদের আলোচনার একমাত্র বিষয় যেন করোনাভাইরাস। সংবাদমাধ্যমে নানান খবর, হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া নানান ফরোয়ার্ডেড মেসেজ, বাড়িতে আলোচনা, সব মিলিয়ে তথ্যের ভারে ভারাক্রান্ত আমরা সবাই। কিন্তু সারাক্ষণ একটা বিষয়েই ডুবে না থেকে অন্যান্য বিষয়েও কথা বললে, ভালো গান শুনলে, ছবি দেখলে মন হালকা থাকবে। কঠিন এ সময়ের জন্য সুস্থদেহের পাশাপাশি সুস্থমন থাকাও অত্যন্ত প্রয়োজন।

এ পরিস্থিতিতে গুজব যাতে ছড়াতে না পারে, সে কারণে যে কোনো খবর বিশ্বাস এবং অন্যকে জানানোর আগে অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মেসেজ বা পোস্ট থেকে নয়, অথেনটিক সোর্স থেকে পাওয়া তথ্যই গ্রহণ করা উচিত। এতে করে সঠিক তথ্য পাওয়া এবং অন্যকে জানানোর মাধ্যমে একে অন্যের পাশে থাকা যাবে, গুজবও ছড়াতে পারবে না।

বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে মন ভালো থাকবে। শুধু রোগ বা সমস্যার কথাই নয়, নানা বিষয়ে স্বাভাবিকভাবে কথা বললে মন ঝরঝরে থাকবে। এতে করে অন্যেরা যেমন ভরসা পাবে, নিজেরও ভরসা লাগবে। মনে রাখতে হবে সারা পৃথিবী আজ এ সমস্যার মধ্যে রয়েছে। কাজেই মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে বিশ্বাস করতে হবে এ সংকট কেটে যাবে। এ সময় ইতিবাচক ভাবনা অত্যন্ত জরুরি। করোনাভাইরাসে ক্ষতির সাথে ভালো দিকও আছে। লকডাউনে থাকাকালে পরিবারের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন একটা সময় কাটানো যাচ্ছে, এও কম কীসে! পজিটিভ ভাবনা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

সরকার দেশের মানুষের পাশে থেকে যেমন তাদের ভালো রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আমরাও তেমনি নিজেদের ভালো রেখে, অন্যদেরও ভালো রাখতে চেষ্টা করতে পারি। এতে করে সরকারকে যেমন সহায়তা করা হবে, তেমনি নিজেকেও সহায়তা করা হবে। সহায়তা করা হবে দেশ এবং বিশ্বকেও।

লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, কলাম লেখক।

এইচআর/বিএ/এমএস