বিশেষ প্রতিবেদন

যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না যদি পারে, তাহলে আমরা পারব না কেন?

করোনা মহামারি থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে আশাজাগানিয়া খবর দিয়েছে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড’। প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা করোনার টিকা (ভ্যাকসিন) আবিষ্কারের দাবি করেছে। প্রাথমিকভাবে তারা প্রাণীর দেহে এই টিকা প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছে। তবে এখনই তারা মানবদেহে পরীক্ষা চালাতে পারবে না। মানবদেহে প্রয়োগের আগে বিধিবিধান মেনে বড় পরিসরে প্রাণীর দেহে টিকার প্রয়োগ করতে হবে। সেটার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারা সেটা করবেন। সেখানে সফল হলে তারা মানবদেহে টিকা প্রয়োগের অনুমতি পাবেন।

Advertisement

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে এই টিকার উদ্ভাবন কাজ শুরু হয় গত ৮ মার্চ। এই বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার অ্যান্ড ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন ড. আসিফ মাহমুদ। টিকা আবিষ্কার করা গবেষক দলের সদস্যও তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) তিনিই সংবাদ সম্মেলনে তাদের উদ্ভাবিত টিকার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আসিফ মাহমুদের জন্ম গাজীপুরে। দাদা বাড়িতে জন্মের কয়েক বছর পর সরকারি চাকরি করা বাবা বদলি হয়ে পরিবার নিয়ে চলে যান চট্টগ্রামে। সেখানে আসিফ মাহমুদের প্রায় সাত বছর কাটে। তারপর নারায়ণগঞ্জে, সেখানে কাটে প্রায় তিন বছর। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে আসেন ঢাকায়। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেন। নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর বৃত্তি নিয়ে চলে যান জাপানে। সেখানে তিনি আবারও স্নাতকোত্তর করেন অ্যাপ্লাইড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে। মেটাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর করেন পিএইচডি। দেশে ফেরার বাধ্যবাধকতা থাকায় পিএইচডি শেষে ২০১৩ সালের এপ্রিলে দেশে ফেরেন তিনি।

দেশে ফিরে যোগ দেন বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দুই বছর ৮ মাস শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতা করা অবস্থায় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আরএনডি) বিভাগের সার্কুলার দেখে খুব আগ্রহী হন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে সেখানে যোগ দেন। এখন তিনি প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার অ্যান্ড ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।

Advertisement

করোনার টিকা আবিষ্কারের বিষয়ে জাগো নিউজের সাথে কথা হয় ড. আসিফ মাহমুদের। টিকা আবিষ্কারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

জাগো নিউজ : করোনার টিকা আবিষ্কারে গবেষণার শুরুর দিককার কথা যদি বলতেন…

আসিফ মাহমুদ : গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড একটা বায়ো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। আমরা বায়োলজিক্যাল ড্রাগ নিয়ে কাজ করি। করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের ফোকাসটা এদিকে নিয়ে আসি।

আমাদের কোম্পানির সিইও (চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার) ড. কাকন নাগ এবং সিওও (চিফ অপারেটিং অফিসার) ড. নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে আমরা ৮ মার্চ কাজ শুরু করি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ থেকে। গত ১৪ মার্চ সিইও ও সিওও কানাডায় যান ১৫ দিনের জন্য। তারা যেহেতু কানাডার নাগরিক, প্রতি বছর একটা সময় যেতে হয় কিছু প্রয়োজনে। ৩১ মার্চ ফেরার কথা থাকলেও করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য তারা এখনও আসতে পারেননি। তারা সেখান থেকেই নেতৃত্ব দিতে থাকেন অনলাইনে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো প্রসেস, ভেরিফিকেশন, কিউসি, প্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাই। অবশেষে আমাদের কাজ অ্যানিমেল (প্রাণী) ট্রায়ালের জন্য জমা হয়।

Advertisement

জাগো নিউজ : প্রিলিমিনারি (প্রাথমিক) ট্রায়াল কয়টি খরগোশের ওপর করেছেন?

আসিফ মাহমুদ : প্রিলিমিনারি ট্রায়ালে আমরা পাঁচটা খরগোশ ব্যবহার করেছি। কারণ আমরা তিনটা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট ট্রায়ালের চেষ্টা করেছি। সেক্ষেত্রে একটা কন্ট্রোল, একটা পসিবল আর তিনটা আমাদের ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন দিয়ে ইমুনাইজেশন (রোগ প্রতিরোধ) করা হয়েছে।

জাগো নিউজ : প্রিলিমিনারি ট্রায়ালের জায়গা কোথায় ছিল?

আসিফ মাহমুদ : আমাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগেই করা হয়েছে। খরগোশগুলো আমাদের এখানেই আছে। করোনার কারণে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গবেষণাকেন্দ্রে যেতে পারিনি। যখনই আমাদের ভ্যাকসিন টার্গেট রেডি হয়েছে, আমরা আমাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগে প্রয়োগ করেছি।

জাগো নিউজ : মানবদেহে কবে নাগাদ এই টিকা প্রয়োগের আশা রাখেন?

আসিফ মাহমুদ : আমরা প্রিলিমিনারি ট্রায়াল করেছি। এই প্রিলিমিনারি ট্রায়াল দিয়ে কিন্তু হিউম্যান বডিতে (মানবদেহে) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যাবে না। এখন রেগুলেটেড অ্যানিমেল ট্রায়াল (বিধিবিধান মেনে প্রাণীর দেহে টিকা প্রয়োগ) করতে হবে। সেখানে আমাদের তিনটা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের টার্গেটের সাথে আরও তিনটা টার্গেট যোগ হবে। স্যাম্পল সংখ্যাও আমাদের বাড়াতে হবে। সেই ট্রায়ালের জন্য আমরা ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় নিয়েছি। এর মধ্যে আমরা রেগুলেটেড ট্রায়ালটা শেষ করব। এরপর আমরা মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কাছে প্রটোকল সাবমিট (জমা) করব।

জাগো নিউজ : তিনটা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের সাথে আর কী কী যুক্ত হবে?

আসিফ মাহমুদ : আমরা আসলে চারটা টার্গেট নিয়ে কাজ করছিলাম। চারটা টার্গেট আমরা তিনটা ডিফারেন্ট ডেলিভারি মেথডে ব্যবহার করব। আমাদের মোট ক্যান্ডিডেট হচ্ছে ১২টা। এর মধ্যে তিনটা ক্যান্ডিডেটের ডাটা শো করেছি। বাকি ডাটাগুলো পর্যায়ক্রমে পাবলিকেশন করব। তারপর আমরা সামনে এগোব।

জাগো নিউজ : মানবদেহে প্রয়োগের আগে প্রটোকল মেনে বড় পরিসরে প্রাণীর দেহে টিকার প্রয়োগ করবেন। সেটার প্রস্তুতি সম্পর্কে যদি বলতেন…

আসিফ মাহমুদ : সেটার প্রটোকল আমাদের রেডি করা আছে। কিছু প্রস্তুতিও আছে, অ্যানিমেল মডেলে ট্রাই করতে হলে তাদের কিছুটা আইসোলেশনে রাখতে হয়, সিলেকশন করতে হয়– এই প্রসেসগুলো আমরা চালাচ্ছি। এগুলো আমাদের রূপগঞ্জ অ্যানিমেল ফ্যাসিলিটিতেই হবে। রেগুলেটেড অ্যানিমেল ট্রায়াল আমরা রেগুলেটড পন্থাতেই করব।

জাগো নিউজ : এখন কোন প্রাণীর দেহে করতে চান?

আসিফ মাহমুদ : এটা আমরা করব মাউস (ছোট ইঁদুর) অ্যান্ড র‌্যাট (বড় ইঁদুর)-এর ওপর। যেকোনো একটা সুইটেবল মেডেল বেছে নেব। সেটাতে করা হবে।

জাগো নিউজ : কতগুলো প্রাণীর ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা আছে কিংবা রেগুলেটরি সমর্থন করে?

আসিফ মাহমুদ : এটা আসলে গাইডলাইনের ওপর নির্ভর করে। পরীক্ষামূলক নকশা আমরা অবশ্যই করেছি। এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলাটা সম্ভব নয়।

জাগো নিউজ : প্রতিবন্ধকতার শিকার না হলে আগামী ডিসেম্বরে টিকা বাজারে আনার কথা বলছেন। কিন্তু অনেকে বলছেন, ৬ মাসে টিকা বাজারে আনা অবাস্তব?

আসিফ মাহমুদ : যারা বলেছেন, তারা তো আমার সামনে বলেননি। দেড় বছরে তারা করেছে কি-না, জানি না। যদি তারা করে থাকে, তাহলে বলতে পারে দেড় বছর লেগেছে। আমি বিশ্বব্যাপী যা দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ৬৯ দিনে ভ্যাকসিন ডেভেলপ করেছে। তারা কিন্তু এখন ফেজ-২ ট্রায়ালে আছে। তারা বলছে, ডিসেম্বরের শেষের দিকে তারা বাজারে আসবে। ওরা যদি ফেব্রুয়ারিতে শুরু করে ডিসেম্বরে বাজারে আসতে পারে, তাহলে আমরা পারব না কেন?

ছয় থেকে আট সপ্তাহ মানে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যানিমেল ট্রায়াল শেষ করে ফেলব। তারপর আমরা যখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল সাবমিশন করব, তখন কিন্তু আমাদের আর তেমন কোনো দায়িত্ব নেই। তখন দায়িত্ব হলো বিএমআরসি’র। তারা আমাদের প্রটোকল অনুমোদন করবে, মূল্যায়ন করবে। এখন সেখানে যদি তাদের সময় লেগে যায়, সেটা কিন্তু কন্ট্রোল করতে পারব না। সেটা আমাদের আয়ত্বের বাইরে। তারপর তারা অনুমোদন দিলে আমাদের পক্ষ হয়ে তৃতীয়পক্ষ মানবদেহে প্রয়োগ করবে। ওই সময় যদি সুইটেবল সিআরও (তৃতীয়পক্ষ) না পাওয়া যায় এবং তাদের যদি সময় বেশি লেগে যায়, তাহলে কিন্তু আমরা কিছু করতে পারব না।

একইভাবে এই ধাপগুলো পার হওয়ার পর আমরা যখন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে যাব, মার্কেট অথোরাইজেশনের (বাণিজ্যিকীকরণ) জন্য, সেখানেও যদি সময় লেগে যায়, সেখানেও কিন্তু আমরা কিছু করতে পারব না। সবকিছু যদি স্মুথলি চলে, আমরা আশা করছি, হিউম্যান ট্রায়ালের ফেজ-১, ফেজ-২ ও ফেজ-৩— এই তিনটা তিন মাসে শেষ করতে পারব।

জাগো নিউজ : টিকা উদ্ভাবনের কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন কি-না?

আসিফ মাহমুদ : অবশ্যই প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি। সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছি, সেটা হলো, আমরা বড় ধরনের রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট করেছি। এই রিসার্চের জন্য যে র-মেটেরিয়ালগুলো, রি-এজেন্ট, সেগুলোর বেশিরভাগই কোর-চেইন মেইনটেইন করে আসতে হয়। আমাদের দেশের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, র-মেটেরিয়ালগুলোর সহজলভ্যতা– এগুলোতে আমাদের প্রধান সময়টা লেগে গেছে। বিদেশে যখন কাজ করেছি, তখন দেখেছি, আজ অর্ডার দিলে কালকে ল্যাবে চলে আসত। কিন্তু এখানে কোনো একটা জিনিস আনার পরিকল্পনা করলে সেটা হাতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে খুব দ্রুত হলেও এক মাস লেগে যায়। এটা রিসার্চ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু এগুলো বিবেচনায় রেখেই আমরা কাজ করছি।

জাগো নিউজ : ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলোতে কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলে মনে করছেন?

আসিফ মাহমুদ : আমাদের তরফ থেকে সামনে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছি না। কারণ, আমরা যে টেকনোলজি ব্যবহার করে ভ্যাকসিন ডেভেলপ করেছি, সেই টেকনোলজির সাথে আমরা খুব ভালোভাবে পরিচিত। কারণ, একই টেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা বায়োলজিকস ডেভেলপ করি। তো এটা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত ব্যাপার। সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো চ্যালেঞ্জ নাই।

কিন্তু যেহেতু দেশে প্রথমবারের মতো আমরা একটা জিনিস তৈরি করেছি, সেটার রেগুলেটরি গাইডলাইন ফলো করে মার্কেটে আসার কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকবে। সেগুলো আমরা সময়মতো যদি সমাধান করতে পারি, তাহলে সময়মতো ভ্যাকসিন দেশের মানুষ পাবে।

জাগো নিউজ : আপনারা তো বাংলাদেশের করোনার জিনোম সিকোয়েন্স দেখেছেন। অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের করোনা কতটা মারাত্মক?

আসিফ মাহমুদ : এ ব্যাপারে আমরা কোনো রিসার্চ করিনি। আমি মনে করি, এটার জন্য বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন। আমাদের দেশে সিকোয়েন্স জমা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে করছে কি-না, তা জানি না। আমার ধারণা, একটা সুনির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে সিকোয়েন্সিংগুলো করা হলে আরেকটু বড় পরিসরে, হয়তো-বা এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেত। এই মুহূর্তে আমার কাছে এর উত্তর নাই।

জাগো নিউজ : আপনাদের উদ্ভাবিত টিকার আশার দিকটা কী?

আসিফ মাহমুদ : আমরা বাংলাদেশে প্রথম এই ধরনের একটা জিনিস তৈরি করার চেষ্টা করেছি। আমরা কিন্তু টিকার কোম্পানি না। তারপরও বিশ্বের নেতৃত্বে যেসব টিকা কোম্পানি আছে, তারা কিন্তু একটা ক্যান্ডিডেট নিয়ে কাজ করছে। তাদের ডেলিভারি ম্যাকানিজমও একটা। আমাদের সফলতা যেন নিশ্চিত হয়, সেজন্য আমরা মাল্টিপল টার্গেট সেট করেছি। মাল্টিপল ডেলিভারি মেথডও রেখেছি। যাতে কোনোভাবেই ব্যর্থ না হই। আমাদের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা সেখানেই যে, কোনো না কোনো একটা মেথড অবশ্যই কাজ করবে। যদি আমেরিকার মডার্না সফল হয়, তাহলে আমরাও অবশ্যই সফল হব।

জাগো নিউজ : দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করে কী বলতে চান?

আসিফ মাহমুদ : দেশের মানুষের জন্যই টিকাটা করা। টিকা হয়তো এ বছরের শেষে কিংবা সামনের বছরের শুরুতে বাজারে আনার অনুমোদন অবশ্যই পাব। উন্নত বিশ্বে তৈরি হওয়া টিকা আমাদের দেশ পর্যন্ত আসতে অনেক সময় লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত আমরা বসে থাকতে চাই না। টিকা আমরা নিজেদের দেশেই তৈরি করতে চাই। যাতে আমরা দেশের ১৬ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারি। এজন্যই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

পিডি/এমএআর/এমএস