বরিশালের হিজলা উপজেলায় মেঘনার শাখা শেওরা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ শাহিদা বেগমের (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি তার নাতি শিশু সাইমুনের (৪)।
Advertisement
শুক্রবার (৩ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের নাছোকাঠির একটি চর সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় শাহিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নাছোকাঠি সংলগ্ন মেঘনার শাখা শেওরা নদীতে ট্রলারডুবিতে নানি ও নাতি নিখোঁজ হন। নিহত শাহিদা বেগম হিজলা-গৌরবদি ইউনিয়নের বিষকাঠালী গ্রামের মোতালেব বেপারীর স্ত্রী। ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ সাইমুন একই এলাকার মো. আল-আমিনের ছেলে।
হিজলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বেল্লাল হোসেন জানান, ট্রলারের মাঝি মোতালেব বেপারী পরিবার ও স্বজনদের ১১ জনকে নিয়ে হিজলার হরিণাথপুর ইউনিয়নের নাছোকাঠী গ্রামের হাটে এসেছিলেন। বাজার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা ট্রলারে করে বিষকাঠালী গ্রামে ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে মেঘনার শাখা শেওরা নদী পাড়ি দেয়ার সময় হঠাৎ দমকা বাতাস ও প্রচণ্ড ঢেউয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ৯ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও শাহিদা বেগম ও তার নাতি সাইমুন নিখোঁজ হন।
Advertisement
তিনি আরও জানান, নিখোঁজ শাহিদা বেগম ও শিশু সাইমুনকে উদ্ধারে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকাল থেকে নৌ-পুলিশের সদস্যরা তৎপরতা শুরু করেন। তবে মেঘনার ওই শাখা নদী প্রচণ্ড খরস্রোতা হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছিল। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের নাছোকাঠির একটি চর সংলগ্ন নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় শাহিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শিশু সাইমুনের খোঁজ মেলেনি। তার খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
সাইফ আমীন/আরএআর/জেআইএম