জাতীয়

‘স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা দূর করতে মন্ত্রীর পদত্যাগ জরুরি’

ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সংঘটিত বৈশ্বিক মহামারি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি বড় ধরনের সংকট বয়ে নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের দুরবস্থা ও জনপ্রতিনিধিদের অব্যাহত দুর্নীতি আরও প্রকট সমস্যার মধ্যে ফেলেছে মানুষকে। এ থেকে রেহাই পেতে ও স্বাস্থ্যখাতে চরম অব্যবস্থাপনা দূর করতে জনস্বার্থে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ জরুরি।’

Advertisement

শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা মহানগর ইসলামী যুব আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভাপতি আতিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় চরম ব্যর্থতা ও দুর্নীতির দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগসহ বিনামূল্যে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত যুবকদের সুদমুক্ত ঋণ প্রদান ও উপযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবিতে সমাবেশ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মুফতি মানসুর আহমাদ সাকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন যুবনেতা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, শেখ মুহাম্মাদ নূর-উন-নাবী, এইচ এম জহিরুল ইসলাম।

Advertisement

ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সবপর্যায়ের মানুষ এখন ত্যক্ত-বিরক্ত। কোভিড-১৯ টেস্ট, চিকিৎসাসেবা, ডাক্তার-নার্সদের সুযোগ-সুবিধা সবক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। তাই অতিদ্রুত স্বাস্থ্যখাতকে গতিশীল করতে ব্যর্থ ও অযোগ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। সেই সাথে করোনা টেস্ট ফি বাতিল করে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুবকদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিনাসুদে ঋণ প্রদান এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থারও দাবি জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে টানা সাধারণ ছুটিতে জনজীবন বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি যুবকদের বড় একটি অংশ চাকরিচ্যুত বা ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। জরিপ সংস্থাগুলোর মতে, দেশের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ যুবক এ মুহূর্তে বেকারত্বের ঘানি টানছে। তাদের প্রত্যেকের ওপর নির্ভরশীল রয়েছে ৪-৫ সদস্যের পরিবার। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে দেশ এক মহাসংকটে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে অভাব ও নীরব দুর্ভিক্ষ যুবসমাজকে চুরি-ডাকাতি-খুন-মাদক ব্যবসাসহ অপরাধ জগতে নিয়ে যেতে পারে।

জেইউ/জেডএ/জেআইএম

Advertisement