প্রবাস

গাড়িচালক থেকে যেভাবে সৌদির সফল ব্যবসায়ী মনির

‘আমার সফলতার পেছনে রয়েছে হাড়ভাঙা পরিশ্রম ও সততা। সাধারণ একজন প্রবাসীর মতই দাম্মামে এসেছিলাম। এখানে প্রথমে যে মার্কেটের গাড়ি চালাতাম সেই মার্কেটেই আজ আমার ৮টি দোকান রয়েছে। অন্যদিকে গড়ে তুলেছি সবজি খামার। খামারেও চাষ হচ্ছে মুরগী, হাঁস। ভবিষ্যতে মাছ চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে’।

Advertisement

কথাগুলো বলছিলেন এক যুগেরই বেশি সময় সৌদির দাম্মামে শ্রমিক ভিসায় আসা মনির হোসেন নামে এক বাংলাদেশি। তিনি বলেন, ‘সততা থাকলে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে। এর জ্বলন্ত উদাহরণ আমি নিজেই। প্রথমে এ শহরে গাড়িচালক হিসেবে কাজ করলেও আজ আমার প্রতিষ্ঠানে ৭৫ জনের বেশি শ্রমিক কাজ করে; যার বেশিরভাগই বাংলাদেশি।

তিনি বলেন, ‘খামার থেকে উৎপাদিত সবজি আমার দোকানেই বিক্রি হয়। আমি মনে করি প্রবাসে এসে সময় নষ্ট করা একদমই বোকামি। বিদেশে আসার আগে চিন্তা করবেন এটা আপনার দেশ নয়। প্রবাস, এখানে যেভাবে হোক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে সততার সঙ্গে’।

এ বাংলাদেশি বলেন, ‘বিদেশে এসে মনোবল হারিয়ে দেশে চলে যাওয়ার চিন্তা নিয়ে বসে থাকলে সেই লোক কোথাও কিছু করতে পারবে না। প্রতি বছর আমার লভ্যাংশ অংশ থেকে অসহাদের জন্য অনেক কিছু করার চেষ্টা করি। অভাবীদের পাশে থাকতে পারলে আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে’।

Advertisement

সৌদি আরবের রাজধানী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের শহর দাম্মাম। যেখানে প্রায় ১৬ বছর আগে এসেছিলেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মো. মনির হোসেন। দাম্মাম এসেই গাড়িচালকের কাজ পান তিনি। মনিরের ২ মেয়ে এবং স্ত্রী দাম্মামেই থাকছেন।

এমআরএম