হবিগঞ্জে একজন বিচারকসহ ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা পজিটিভ হওয়ায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ৩ জুলাই ( শুক্রবার) থেকে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া কামাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল হাসান শরীফ জানান, আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তবে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। অফিসে মানুষের যাতায়াত বন্ধ থাকবে। অনেকটা সাধারণ ছুটির মতোই। একজন বিচারকসহ ১৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী করোনা পজিটিভ হওয়ায় এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচার শাখার ১৪ জুনের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ জুন হবিগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা করানো হয়। এর মধ্যে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ১৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মচারীর কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়। যা মোট কর্মকর্তা কর্মচারীর ২০ শতাংশ। ইতোমধ্যে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ প্রায় ৩৫ জন সহায়ক কর্মচারী। এছাড়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী হবিগঞ্জ পৌরসভার ‘লাল অঞ্চল’ ঘোষিত এলাকায় বসবাস করেন। এ বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে পরামর্শ করলে তিনি উল্লেখিত সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেন।
এমতাবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেসির স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সরাসরি সংস্পর্শে যারা এসেছেন এবং যাদের উপসর্গ বিদ্যমান আছে তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য দ্বিতীয় দফায় আজ শুক্রবার পুণরায় নমুনা নেয়া হবে।
Advertisement
এ অবস্থায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ কল্পে ৩ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত আজমিরীগঞ্জ চৌকি আদলতসহ ম্যাজিস্ট্রেসির নিয়মিত স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ১১ জুলাই আদালতের পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হবে।
একইসঙ্গে উল্লিখিত সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জেনারেল ফাইল নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবীদের সহযোগিতাও কামনা করা হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ/এমএস
Advertisement