পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সারা বিশ্বে এখন করোনার মহামারি চলছে। আমাদের দেশেও এই মহামারি হানা দিয়েছে। আমরা দেশের মানুষের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। যাতে এই মহামারি থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা যায়। বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এজন্য দোকানপাট সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারের মাঝে জেনারেল রিলিফ (জিআর) প্রকল্পের চাল-ডাল বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। করোনার দুর্যোগ দ্রুত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার। কারণ আমরা আগে থেকেই দেশের মানুষকে সচেতন ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী দিতে পেরেছি। তারপরও কিছু ক্ষতি হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে দেশে হঠাৎ করে বন্যা দেখা দিয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকাসহ সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, শুধু করোনা মহামারি নয়; ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও দেশের মানুষের পাশে আছে সরকার। দেশের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজির চাল, জিআর, ভিজিএফ ও ভিজিডি দিয়ে সহযোগিতা করছি আমরা।
Advertisement
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেবুন নাহার শাম্মী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তাদির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়া ও দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনির উদ্দিন।
মোসাইদ রাহাত/এএম/জেআইএম