সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১৭ হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে এগিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে ৬ হাজার ২০০ জন হলেন পেশাদার চিকিৎসক। যাদের মধ্যে দাঁতের চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট এবং সহযোগী স্বাস্থ্যসেবক রয়েছেন।
Advertisement
এছাড়া স্বাস্থ্য-পেশা থেকে অবসর কিংবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে ৪ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী আগে থেকেই কাজ করেছিলেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যেসব স্বেচ্ছাসেবীদের কাজে যোগদানের উপযোগী বলে মনে হয়েছে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মাঠ পর্যায়ে নিযুক্ত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ায় জন্য ইতোমধ্যে ৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক অভিবাসী কর্মীদের ডরমেটরি ও অন্যান্য কমিউনিটির সোয়াব পরীক্ষা করার প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ৩০০ জন দাঁতের চিকিৎসক রয়েছেন। এপ্রিলে সার্কিট ব্রেকারের সময়কালে ১২৫ জন দাঁতের চিকিৎসক এবং নার্সসহ তিন সপ্তাহে মোট ১৩ হাজার সোয়াব টেস্ট করেছেন। ৮৫টি ক্লিনিকজুড়ে ২০০ জন দাঁতের চিকিৎসক এখন সোয়াব টেস্ট করাতে সক্ষম বলে জানা গেছে।
Advertisement
প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাক্তার এনজি বলেছেন, ‘এন-৯৯ ফেস মাস্ক, হ্যাজমাট স্যুট, গগলস এবং ফেস শিল্ডসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামগুলিতে কমপক্ষে ৮০ হাজার ডলার ব্যয় হয়েছে।
২৫ শে জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন সিঙ্গাপুরের সোয়াব টেস্টের ক্ষমতা ১৩ হাজার থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ অর্থনীতি ধীরে ধীরে পুনরায় চালু হতে শুরু করেছে এবং আরও বেশি কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরে আজকে নতুন করে ১৮৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ২১৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট ৪৪ হাজার ৩১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ১ জন বিদেশফেরত এবং বাকি সবাই ওয়ার্কপাশ হোল্ডার যারা- ডরমেটরিতে থাকেন।
২ জুলাই সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকে আক্রান্তদের মধ্যে ৮ জন সিঙ্গাপুরিয়ান (পার্মানেন্ট রেসিডেন্স) ২ জন ওয়ার্কপাশ হোল্ডার যারা ডরমেটরির বাইরে বসবাস করেন। ১ জুলাই ৫১১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৩৯০১১ জন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
Advertisement
এমআরএম/এমকেএইচ