করোনাভাইরাস সংক্রমণ ‘শনাক্তকরণে’ ফি নির্ধারণ মানবতা পরিপন্থী ও গণবিরোধী বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। তারা বলছে, এতে নিম্নআয়ের মানুষ উপসর্গ থাকার পরও করোনা পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হবে। তাদেরকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন করা যাবে না। ফলে সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এই অবস্থায় এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপ নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, এই মহামারির মধ্যে মানুষ না খেয়ে আছে। এক মুঠো আহারের জন্য আজকে নিরন্ন অসহায় কর্মহীন মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এই অবস্থায় করোনা টেস্টের জন্য ২০০-৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের গণবিরোধী অবস্থানের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ মাত্র। মহামারির এই পরিস্থিতিতে মানুষের যখন উপার্জনের পথ বন্ধ, জীবিকা হুমকির মুখে সেই মুহূর্তে করোনা পরীক্ষায় সরকারি ফি নির্ধারণ সাধারণ জনগণের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি উপহাসের নামান্তর।
বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের ৪৩% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশের বহু পরিবার এখন তিনবেলা খেতে পায় না। অন্যদিকে হাজার হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয়ের সন্ধান করছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ করার দায়িত্ব সরকারের। করোনা পরীক্ষা রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচিরই একটি অংশ। সরকারের ভুল পরিকল্পনায় বিদ্যুৎখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সেখানে করোনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে সরকারের অর্থের অভাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
Advertisement
করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে পরীক্ষার ফি নেয়ার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ন্যাপ নেতারা বলেন, স্বয়ং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে করোনা বিস্তারের সঠিক চিত্র আর পাওয়া যাবে না। সরকার আসলে কার পরামর্শে, কাদের জন্য কাজ করছে-তা আসলেই বোধগম্য নয়। ফ্রি থাকলে ধনী-গরিব সবাই টেস্ট করাতে পারত।
কেএইচ/এসআর/পিআর